• বাংলা ডেস্ক
  • ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩৩:৫৪
  • ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩৩:৫৪
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

বিয়ের পর প্রথম সাক্ষাতে স্বামী-স্ত্রীর নামায ও দোয়া

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তাআলা প্রাপ্ত বয়স্ক সক্ষম ব্যক্তিদের উপর বিবাহকে ফরজ করেছেন। বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর প্রথম সাক্ষাতে করণীয় হলো- স্বামী তার স্ত্রীর মাথায় হাত রেখে দোয়া করবে। আর মুসতাহাব হলো- স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দু’রাকাআত নামাজ আদায় করবে। এটা সলফে সালেহীনদের থেকে বর্ণিত রয়েছে। নামাজের পর নব দম্পতি পরস্পরের জন্য দোয়া করবে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনায় এ দোয়াটি তুলে ধরা হলো-

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বা-রিক লি ফি আহলি ওয়া বা-রিক লাহুম ফিইয়্যা, আল্লাহুম্মাঝ্মা’ বাইনানা মা জামা‘তা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। (আদাবুয যিফাফ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভাল একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর।’

তাছাড়া এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-

হজরত আবু উসাইদ মাওলা আবু সাইদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আমি দাস অবস্থায় বিয়ে করলাম। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাদের (রাদিয়াল্লাহু আনহুম) একটি ছোট দলকে দাওয়াত দিলাম। তাদের মধ্যে হজরত ইবনে মাসউদ, আবু যার এবং হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহুমও উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, নামাজের ইক্বামাত দেয়া হলো। তিনি বলেন, হজরত আবু যার রাদিয়াল্লাহু আনহু সামনে যেতে শুরু করলেন, অতঃপর তারা বললেন, সাবধান! যাবেন না। তিনি বললেন, অনুরূপ কি? তাঁরা বললেন হ্যাঁ। তিনি (আবু উসাইদ মাওলা আবু সাইদ) বলেন, আমি তাদের সামনে গেলাম। অথচ আমি একজন ক্রীতদাস।
অতঃপর তাঁরা আমাকে শিক্ষা দিয়ে বললেন, ‘যখন তোমার স্ত্রী তোমার কাছে আসবে, তখন দু’রাকাআত নামাজ পড়বে। তারপর তোমার কাছে যে প্রবেশ করেছে আল্লাহর কাছে তার কল্যাণ কামনা করবে এবং তার খারাপী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করবে। তারপর তোমার ও তোমার স্ত্রীর ব্যাপার। (মুসান্নাফ আবি শায়বা, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ইবনে হিব্বান)

বাংলা/আরআই/এমএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1527 seconds.