ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিয়ের মাধ্যমেই একজন নর এবং নারী পূর্ণতা লাভ করে। বিয়ে নারীদের জন্য একটি স্বপ্ন আর পুরুষদের জন্য একটি দায়িত্ব। বিয়ে হলো সেই রীতিনীতি বা প্রথা বা চুক্তি, যার মধ্য দিয়ে সমাজ একজন পুরুষ একজন নারীর সাথে অতি ঘনিষ্টভাবে বসবাস, সুখ-দু:খ ও হাসি-কান্না, দৈহিক চাহিদা ভাগাভাগি করে নেয়। প্রাচীনকাল থেকেই সমাজে এটি হয়ে আসছে। কিন্তু বর্তমানে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা অনেক বেশিই দেখা যাচ্ছে। ছোট-বড় নানা ভুলের কারণে সম্পর্ক টিকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
আবার কিছু বদ অভ্যাসগুলো বিয়ে ভেঙে যাওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে। তবে আপনার সম্পর্ককে যদি টিকিয়ে রাখতে চান তাহলে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে তুলতে হবে।
যেসব কারণগুলো বৈবাহিক জীবনের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেগুলো তুলে দেওয়া হলো-
১) পার্টনারের পরিবার থেকে নিজের পরিবারকে বেশি গুরুত্ব দিলে-
আপনার পরিবার হয়তো সবদিক থেকেই ভালো। কিন্তু পার্টনারের পরিবার সবদিক থেকেই খারাপ। এখন যদি সারাক্ষণই নিজের পরিবারের গুণগান করছেন। কিন্তু পার্টনারের পরিবারের কথা একবারও বলছেন না। সবসময় তার সামনে তার পরিবারের সমস্যার কথা বার বার তুলে ধরছেন। এই কাজটি একেবারেই ঠিক না। এতে আপনার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মতো বড় সমস্যা হতে পারে।
২) পার্টনার থেকে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত আশা করলে-
মানুষের আশার কোনও শেষ নেই কথাটা সত্য। আপনার মনের আশা অবশ্যই পার্টনারের কাছে ব্যক্ত করবেন। তবে সেই আশা হতে হবে পরিমিত। অর্থাৎ আপনার হয়তো কোনও জিনিস পছন্দ হয়েছে। যার দাম অনেকটা বেশি। আপনার পার্টনারের সাধ্যের বাইরে। কিন্তু সেটা কিনে দেওয়ার জন্য পার্টনারকে জোর করে বাধ্য করছেন। ফলে আপনার এই আশা পূরণ করতে গিয়ে পার্টনারের মাথায় চাপ পড়ে যাচ্ছে। এতে পার্টনার বিরক্ত হয়ে আপনার জীবন থেকে সরে যেতে চাইবে।
৩) নেতিবাচক মনোভাব থাকলে-
আপনার পার্টনার কোন ভালো কাজ করবে বা কোন সাফল্যের কথা বলছে, তখনি যদি আপনি তার সামনে এ বিষয়ে নেতিবাচক কথা বলেন বা সাফল্যের জন্য কোন উৎসাহ দিচ্ছেন না। তাহলে সে খুব কষ্ট পাবে এবং সবসময় তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শুনলে একটা বৈরিভাব তৈরি হবে। এতে আপনার বিয়ে ভাঙার সম্ভবনাও থাকতে পারে।
৪) বার বার পার্টনারের ভুল শুধরে দেওয়া-
প্রত্যেক মানুষই ভুল করে। আপনার পার্টনার হয়তো কোন ছোট ছোট ভুল করছে অবশ্যই শুধরে দিবেন। তাই বলে আপনি একই ভুল বার বার শুধরে দিতে চাইছেন। এতে পার্টনার খুব বিরক্তবোধ করবে। এমনকি আপনার সঙ্গে হয়তো আর থাকতে চাইবে না।
৫) টাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দিলে-
যদি দুজনেরই রোজগার থাকে তাহলে তা দুজনেই হিসাব রেখে ভাগ করে খরচ করুন। একে অপরকে সাহায্য করুন। ঘর গোছানোর সময় যদি কোনও নতুন জিনিস কেনার প্রয়োজন হয় তাহলে দুজনেই খরচ দিন। আপনি যদি আপনার পুরো টাকা জমিয়ে রাখন, আর পার্টনারকেই সব জিনিস কিনতে বলেন। তাহলে তার উপর চাপ হয়ে যাবে। এর কোনও মানেই হয় না। এতে আপনাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হবে। এমনকি আপনার পার্টনার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বাংলা/এমএ/এমএইচ