ছবি: সংগৃহীত
আধুনিক যুগে এখন আর পকেটে পকেটে টাকা নিয়ে ঘোরার প্রয়োজন পরে না। শহরের চারপাশ জুড়েই এখন এটিএম বুথ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এটিএম বুথ থেকেও জাল টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কে, কখন, কোথায়, কিভাবে নকল টাকার পাল্লায় পড়ে যাবেন তা কেউ জানেন না। কেননা সেই মুহূর্তে কেউ এর সাক্ষী থাকে না।
এটিএম-এ নকল নোট রোধ করতে বিভিন্ন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাও যদি আসে তখন গ্রাহককে বিপাকে পড়তে হয়। কেননা বিদেশে এটিএম রিসিপ্টে কারেন্সির নম্বর উল্লেখ থাকে, কিন্তু বাংলাদেশে শুধু কত টাকা তোলা হচ্ছে তার অ্যামাউন্টই উল্লেখ থাকে।
এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এরকম সন্দেহ হলে প্রথমেই নোটটি সিসিটিভি-র সামনে ধরা উচিত। যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে নোটটি এটিএম-থেকেই পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এটিএম-এ যে নিরাপত্তারক্ষী আছেন তার কাছে নোটের ডিটেলস দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে রাখা শ্রেয়। এতে নোটটি এটিএম থেকে কোন সময়ে বেরিয়েছে, তা স্পষ্ট হবে।
পাশাপাশি যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে সেখানেও সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে রিজার্ভ ব্যাংকেও। এছাড়া পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করতে হবে।
তদন্ত চলাকালীন সিসিটিভি ফুটেজই প্রমাণ করবে নোটটি এটিএম থেকে বেরিয়েছে। প্রমাণ দেবে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে জমা হওয়া অভিযোগও। একই সঙ্গে ব্যাংকও জানাবে যে গ্রাহক, এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন।
বাংলা/আরআই/এমএইচ