ছবি: ইন্টারনেট
চিনির চেয়ে কী মধু অনেক বেশি উপকারী? মধু মহৌষধ নামে পরিচিত। আর চিনি বরং ক্ষতিকর।
মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের চিকিৎসক ও গবেষকরা জানান, মধুর বেশিরভাগটাই চিনি। তবে দুইটির মধ্যে যদি বেশি স্বাস্থ্যসম্মতটি বেছে নিতে হয়, তবে মধুর বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা ত্যাগ করতে হবে। মানুষের দেহ খাদ্যকে ভেঙে মধু গ্লুকোজ তৈরি করে নেয় শক্তির যোগান দিতে।
আরেকটি উপাদান কার্বহাইড্রেট যাকে ভাঙতে বেশি কাজ করতে হয় দেহকে। চিনির অর্ধেকটাই অর্থাৎ ৫০ শতাংশ গ্লুকোজ এবং বাকি অর্ধেক ফ্রুকটোজ। সাধারণত চিনি পাওয়া যায় ফল থেকে এবং খুব সহজেই তা ভেঙে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়।
অন্যদিকে, মধুর অধিকাংশটাই চিনি। তবে এর মাত্র ৩০ শতাংশ গ্লুকোজ এবং ফ্রুকটোজ ৪০ শতাংশরও কম। এতে আরো জটিল ধরনের চিনি এবং ডেক্সট্রিন নামের এক ধরনের স্টার্চি ফাইবার রয়েছে ২০ শতাংশ। এসব উপাদানকে ভেঙে গ্লুকোজ করতে দেহকে আরো বেশি কাজ করতে হয়। আর এত কাজের পর ক্যালোরি আসে খুব কম।
এছাড়া মধুতে আরো কিছু ক্ষতিকর পদার্থ থাকতে পারে। এটি নির্ভর করে মৌমাছি এক ফুল থেকে অন্য কী কী ফুলে যায় এবং মধুটি কোন এলাকার তার উপর। তা ছাড়া মধুতে জিঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো খনিজের পরিমাণ ও ভিটামিন কম রয়েছে। তবে মধু যেহেতু প্রকৃতিতে তৈরি হয়, তাই এটি সংরক্ষণে কৃত্রিম পদার্থ ব্যবহার করা হয় না।
অবশেষে বলা যায়, দেহকে কম কাজ করে বেশি ক্যালোরি উৎপাদন করতে হলে চিনি অনেক বেশি উপকারী। আর ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি উপভোগ করতে চাইলে মধু ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই নিয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোন সমাধানে পৌঁছতে পারেননি গবেষকরা।