ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে যেই নম্বর সিরিজ আছে তা প্রায় শেষ হওয়ায় নতুন নম্বর সিরিজে তিন কোটি সিমের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোনের দুই কোটি ও বাংলালিংকের এক কোটি সিম।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিটিআরসির অনুমোদিত ০১৩০ ও ০১৩১ নম্বর সিরিজের প্রতিটিতে এক কোটি করে মোট দুই কোটি সিম পাবে গ্রামীণফোন। অর্থাৎ অনুমোদিত সিরিজের বাইরে অন্য কোনো নতুন নম্বর সিরিজ ব্যবহার করতে পারবে না প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে এক কোটি সিমের অনুমোদন পেয়েছে বাংলালিংক। প্রতিষ্ঠানটির নতুন নম্বর সিরিজ দেওয়া হয়েছে ০১৪০, যদিও বাংলালিংক আবেদন করেছিল ০১০ সিরিজের জন্য। নতুন এই নম্বর সিরিজের জন্য গ্রামীণফোন ও বাংলালিংককে কোনো ফি দিতে হচ্ছে না, যদিও অন্যান্য দেশে নতুন নম্বর সিরিজের জন্য ফি নিয়ে থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তৈমুর রহমান বলেন, ‘এতদিন গ্রাহকরা তাদের পছন্দমতো নম্বর সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়তেন। নতুন নম্বর সিরিজের অনুমোদন পাওয়ায় গ্রাহকরা এখন তাদের পছন্দমতো নম্বর সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব নতুন সিরিয়ালের সিমগুলো বাজারজাত করব।’
গ্রামীণফোনের প্রধান করপোরেট অফিসার মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ সংস্থার থেকে এ বিষয়ে চিঠি পেয়েছি। নতুন নম্বর সিরিয়ালের দুটি সিরিয়াল পেয়েছি। গ্রাহকরা এখন তাদের পছন্দমতো সিম সংগ্রহ করতে পারবেন। নতুন সিরিয়ালের সিমগুলো বাজারে ছাড়তে দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, এর আগের বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে গ্রামীণফোনকে ০১৩ সিরিজে মাত্র ২০ লাখ সিম বরাদ্দ দেওয়ার খসড়া সিদ্ধান্ত হলেও সংখ্যাবিভ্রাট হওয়ায় তা আর বাস্তবায়িত হয়নি। চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় দুই অপারেটরকে একটি করে নতুন নম্বর সিরিজ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত দেন। গত বুধবারের কমিশন বৈঠকে আগের খসড়া সংশোধন করে নতুন করে দুটি অপারেটরের জন্য তিন কোটি নতুন নম্বর সিরিজের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। বর্তমানে অপারেটর দুটি যথাক্রমে ০১৭ এবং ০১৯ ব্যবহার করছে। তিন বছর ধরে গ্রামীণফোন তাদের ১০ কোটির কোটা পূরণ হওয়ার কথা বলে আরও একটি নম্বর সিরিজ বরাদ্দের দাবি করেছিল।
অন্যদিকে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে নতুন নম্বর সিরিয়ালের দাবি তোলে বাংলালিংক। সেই সময় প্রতিষ্ঠানটির দাবি ছিল ০১০ সিরিজের। এর আগে ০১৪ নম্বর সিরিজটি আরেকটি কোম্পানির জন্য বরাদ্দ দেওয়া ছিল। ২০১৬ সালের এক কমিশন বৈঠকে ওই সিরিজটি বাতিল হওয়ার পর তা খালি হয়। এর আগে একবার ২০১৬ সালের অক্টোবরে গ্রামীণফোন ০১৩ সিরিজটির অনুমোদন পেলেও পরে নানা শর্তে তা আটকে যায়। ওই সময় রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ায় রবি দুটি সিরিজ ব্যবহার করে বাড়তি ব্যবসায়িক সুবিধা পেয়ে আসছে। আর সেই একই সুবিধা অপর দুটি অপারেটরও যাতে পায়, সেজন্য দ্রুততার সঙ্গে ০১৩ এবং ০১৪ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত এলো বলেও বলছেন কেউ কেউ। কমিশনের নম্বর প্ল্যানিং অনুসারে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক ছাড়া অন্য অপারেটরগুলোর মধ্যে বর্তমানে সিটিসেল ব্যবহার করছে ০১১, টেলিটক ০১৫, রবি ০১৬ ও ০১৮। এখনও ০১০ এবং ০১২ সিরিজ দুটি খালি রয়েছে।
বাংলা/এমটি/এমএইচ