ছবি : সংগৃহীত
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচন করতে চান। আর এ জন্য শুক্রবার বিকেলে কম্বোডিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন তিনি।
ড. রেজা কিবরিয়া বিগত ১/১১-এর সময়ে সংস্কারপন্থি হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়েন। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের লবিং করেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হন। গতকাল তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমার বাবা পার্টির সেবা করেননি। তিনি দেশের সেবা করেছেন। দেশের জন্য কাজ করেছেন। যদিও আমার বাবার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা হয়েছিল। আমারও চিন্তা দেশ ও এলাকার উন্নয়ন। আর যে দল ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে আমার বাবার হত্যার বিচার করেনি, হত্যাকারীদের খুঁজে বের করেনি, সেই দলের প্রতি কেন আমার আনুগত্য থাকবে। যদি ১০ বছরে তারা বিচার করতে পারত, তাহলে আমার কৃতজ্ঞতা থাকত। বাংলাদেশের মানুষের শিক্ষার অভাব থাকতে পারে, কারণ তারা নিপীড়িত। কিন্তু তারা বোকা নয়। কেন কিবরিয়া হত্যার বিচার হচ্ছে না, তা তারা নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারে।’
রেজা কিবরিয়া আরো বলেন, ‘দেশ পরিচালনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যে নীতি, তা আমার পছন্দ নয়। তাদের নীতির সঙ্গে আমার নীতির মিল নেই। এভাবে দেশ পরিচালনা সঠিক নয় বলেই আমি তাদের সঙ্গে নেই।’
ড. রেজা কিবরিয়া বর্তমানে জাতিসংঘে কাজ করছেন এবং কম্বোডিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবেও কর্মরত আছেন। তার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়া ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। এরপর ২০০৬ সালে রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পান।
পরে সংস্কারপন্থি দলে চলে যাওয়ায় তার পরিবর্তে ২০০৮ সালে দেওয়ান ফরিদ গাজীকে এ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে ২০১০ সালে দেওয়ান ফরিদ গাজী মৃত্যুবরণ করলে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শেখ সুজাত মিয়া নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয় পার্টির এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু এ আসন থেকে নির্বাচিত হন।