ছবি : সংগৃহীত
রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কেননা রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়।
আর বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলে ও নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো সুস্থ, রোগহীন মানুষ (পুরুষের ক্ষেত্রে ওজন কমপক্ষে ৪৮ কেজি, মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৫ কেজি) প্রতি চার মাস পরপর এক ব্যাগ করে রক্ত এমনিতেই দিতে পারেন। এতে রক্তদাতার শারীরিক ক্ষতি বা অসুস্থতার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আসুন জেনে নিন রক্তদান করলে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়...
১. শরীরে অতিরিক্ত আয়রন থাকলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিমাসে পিরিয়ড হওয়ার কারণে নারীদের হৃদরোগ তুলনামুলকভাবে কম হয় ।এ কারণে পুরুষদের প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস পর পর রক্তদানের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে শরীরে আয়রনের পরিমাণ ঠিক থাকবে।
২. এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত রক্তদান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। কারণ রক্তদান করলে শরীরে প্রদাহের আশঙ্কা কমে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়ে।
৩. নিয়মিত রক্তদান করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ভাল ভাবে কাজ করে। এতে আয়ুও বাড়ে।
৪. রক্তদান করলে পুরো শরীর উজ্জীবিত হয়। রক্তদানের পর রক্তের লোলিতকণিকাগুলো প্রতিবার পুনর্ব্যবহৃত করতে সক্ষম হয়, শরীর নতুন লোহিতকণিকা উৎপাদন করার অনুমতি দেয়।
৫. একবার রক্তদান করলে ৬৫০ ক্যালরি ঝরে যায়। এতে ওজনও কমে। একজন সুস্থ মানুষ ৫৬ দিন পর পর রক্ত দিতে পারেন। এতে শরীর থেকে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমে যায়।