ছবি : সংগৃহীত
ত্বকের পরিচর্যায় খান ড্রাই ফ্রুট। সুন্দর, মোলায়েম আর দাগহীন ত্বকই হল সৌন্দর্যের আসল চাবিকাঠি। অনেক যত্ন করে তবে এমন ত্বক পাওয়া যায়।
কিন্তু আমাদের অনেকেরই কোনও না কোনও ত্বকের সমস্যা হয়েই থাকে। আমরা যে যত্ন নিই না তা কিন্তু নয়। তাও বাইরের দূষণ, রোদ এই সবের প্রভাব ত্বকের ক্ষতি করে। আর ত্বকের বারোটা বেজে যায়।
কিন্তু জানেন কি শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে পারে। কিশমিশ, আখরোট, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, কাঠবাদাম, আলুবোখরা- এসব ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে পরিচিত। না, আজ এই ফলের সাথে ওই ফল মিশিয়ে মুখে মাখার পরামর্শ দেবো না। বাইরে থেকে যতই কিছু ব্যবহার করি না কেন, শরীর বা ত্বক ভিতর থেকে সুন্দর করতে হলে আপনাকে খেতে হবে।
আসুন জেনে নিন ড্রাই ফ্রুটস খেলে ত্বকের কি কি উপকার পাবেন...
১. ত্বকের জন্য কিশমিশ:
অনেক সুস্বাদু খাবারেই আমরা কিশমিশ ব্যবহার করে থাকি। আপনার ত্বকের যত্ন নিতেও এই কিশমিশ অসাধারণ কাজ দেয়। কিশমিশ ভিটামিন-এ’র একটি উৎকৃষ্ট উৎস। ত্বকের যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন কিশমিশ তা মিটিয়ে দিতে পারে। এটি আপনার ত্বকে আলাদা চমক আনবে। কিশমিশে আছে রেসভেরাট্রোল নামক উপাদান। এটি বার্ধক্যকেত দূরে রাখে। এছাড়াও কিশমিশে আছে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাসের মতো উপাদান। এগুলো রক্তের জন্য খুব দরকারি। এতে কোষে রক্তের সঞ্চালন বাড়ে, অক্সিজেন প্রবাহ ভালো হয়। ত্বক তাই স্বাস্থ্যকর থাকে।
২. কাঠবাদাম:
আপনার ত্বককে সবচেয়ে লাবণ্যময় করে তুলতে পারে এই কাঠবাদাম। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রচুর ফাইবার আর প্রোটিন। এটি ব্রণকে সহজে প্রতিহত করে আর ব্রণর দাগও দূর করে দেয়। বাদাম ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনবদ্য কাজ দেয়। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, রক্ত ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। আর রক্ত পরিষ্কার হলে ত্বক তো এমনিতেই সুন্দর থাকবে।
৩. কাজুবাদাম ট্যান কমাতে সাহায্য করে:
একটি অত্যন্ত উপকারী আর খানিক দামী ড্রাই ফ্রুট। এতে ফ্যাটের একটু বেশি বলে অনেকে ভাবেন এটি খাওয়া খারাপ। কিন্তু নিয়মিত পরিমাণে খেলে এটি খুব উপকার দেয়। কাজুবাদাম ট্যান কমাতে সাহায্য করে। কাজুবাদামে প্রচুর ভিটামিন-ই আছে। ভিটামিন-ই আপনার ত্বকে অ্যান্টি এজিং ক্ষমতা বাড়াবে। সহজে বলিরেখা বা ত্বক কুঁচকে যাবে না।
৪. আখরোট:
ত্বককে সবচেয়ে লাবণ্যময় করে তুলতে পারে এই আখরোট। এতে আছে ওমেগা আর ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বকের টেক্সচার ভিতর থেকে উন্নত করে। আখরোটের তেলে আছে লিনোলিক অ্যাসিড, যা সহজে বলিরেখা হতে দেয় না। যেহেতু এতে ফ্যাট আছে, সেই ফ্যাট আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতার জন্য খুবই দরকারি। ফাইন লাইন হওয়ার থেকেও আখরোট ত্বককে রক্ষা করে। মুখের মধ্যে একটা হাল্কা লালচে ভাব আনে যা আপনাকে আরও সুন্দর করে তোলে।
৫. আলুবোখরা:
এতে রয়েছে ভিটামিন-এ, সি এবং ই। তাছাড়াও রয়েছে যথেষ্ট ভিটামিন ‘বি’- যা নার্ভের জন্য খুবই উপকারী৷ ভিটামিন ‘বি’ মানসিক চাপ দূরে রাখতে সহায়তা করে। আর মানসিক চাপের প্রভাব যে ত্বকের উপর পড়ে তা তো সবাই জানে। গড়ে ১০০ গ্রাম আলুবোখরায় রয়েছে মাত্র ৫০ গ্রাম ক্যালরি, যা ফিগার সচেতনদের জন্যও উপযুক্ত।
৬. পেস্তাবাদাম:
একটু দামী হলেও এতে থাকা ভিটামিন-ই আপনাকে সূর্যের ক্ষতিকর ইউ.ভি রশ্মি থেকে বাঁচায়। এছাড়া ত্বকের ক্যান্সার হওয়ার মতো সমস্যার প্রবণতাও অনেক কম রাখে। এই বাদামে পাওয়া যায় ক্যারোটিনয়েড, লুটেইন যা খুব কম বাদামেই পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি-র্যাডিকেল দূর করে। পেস্তায় থাকা তেল ত্বককে ভিতর থেকে স্মুদ করে। অকালবার্ধক্য আসতে দেয় না।