শাহজালাল বলী। ছবি : সংগৃহীত
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১০তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার ফাইনালে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চকরিয়ার তারিকুল ইসলাম জীবন বলীকে ৩-১ পয়েন্টে হারিয়ে জয় পান শাহজালাল।
গতবার জীবন বলীর কাছে শিরোপা হাতছাড়া হওয়া শাহজালাল এবার সেই জীবনকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে দারুণ খুশি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'খুবই ভালো লাগছে। স্বপ্ন ছিল এই জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হবো। অবশেষে চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভীষণ খুশি হয়েছি।'
১৯০৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে লড়তে দেশের তরুণ যুবকদের শারীরিকভাবে তৈরি করতে এই বলী খেলার প্রচলন করেছিলেন চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বার। ধারাবাহিকভাবে শত বছর পেরিয়ে বর্তমানে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসবেই শুধু পরিণত হয়নি এই খেলা, ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসেও।
এরই ধারাবাহিকতায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বৃহ্স্পতিবার বিকেল ৪টায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের পৃষ্ঠপোষকতায় নগরীর ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১০তম আসরের আয়োজন করা হয়। এবারও লালদীঘির ময়দানে চার ফুট উঁচু করে বিশেষভাবে বালি দিয়ে তৈরি করা হয় বলী খেলার গ্রাউন্ড (টার্ফ)।
জব্বারের এই বলী খেলায় এবার প্রথম রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল (চ্যালেঞ্জিং বাউট), সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে (চ্যাম্পিয়ন বাউট) মোট ১১১ জন বলী অংশ নেন। চ্যাম্পিয়ন বাউটের প্রথম সেমিফাইনালে শাহাবউদ্দিন বলীকে তিন মিনিটেই ধরাশায়ী করেন শাহজালাল বলী। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জীবন বলীর সঙ্গে ১২ মিনিট লড়াই করেন হোসেন বলী। তবে কেউ কাউকে হারাতে পারেননি। তাই সময় স্বল্পতার কারণে টসে ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হয়। তাতে টসভাগ্যে জয় লাভ করে ফাইনালে উঠেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী। তবে সেমিফাইনালে টস ভাগ্যে জিতলেও ফাইনালে নেতিবাচক খেলার কারণে পয়েন্টের দিক দিয়ে শাহজালাল বলীর কাছে হার মানতে হয় তাকে।