ছবি : সংগৃহীত
দীর্ঘদিনের সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি এই যুগলের মধ্যে বাগদান সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার জেসিন্ডা তার কার্যালয়ে কাজ করার সময় সাংবাদিকরা তার আঙ্গুলে বাগদানের হীরার আংটি দেখার পরই তার বিয়ের খবরটি ব্যাপক প্রচার পেতে থাকে।
এদিকে আরডার্ন এবং গেফোর্ডের একজন মুখপাত্র জানান, ইস্টার সানডের ছুটিতে তারা বিয়ে করার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। ফলে সেসময় উভয়ের মধ্যে বাগদান সম্পন্ন হয়। অবশ্য ঠিক কোন তারিখে কিংবা কোন মাসে প্রধানমন্ত্রী বিয়ে করবেন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কিছু জানাননি তিনি। অথবা কে প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন সেটাও জানাননি তিনি। প্রসঙ্গত, আরডার্ন এবং গেফোর্ডের নিভ নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এই মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘তারা বাগদান করেছেন এটি বলা ছাড়া আমি আর কিছুই বলতে পারবো না। এবং ইস্টারের ছুটিতেই এটি ঘটেছে। ’
টেলিভিশনে মাছ ধরা বিষয়ক একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার কাজ করেন ৪১ বছর বয়সি ক্লার্ক গেফোর্ড। এছাড়া তিনি সংসার সামলানো এবং নিজের শিশু সন্তান নিভকে দেখাশুনার কাজও করে থাকেন।
৩৮ বছর বয়সি জেসিন্ডা আরডার্ন গত বছরের জুনে নিভের জন্ম দেন। সেসময় তিনি নবজাতক শিশুকে নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনেও যোগ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টোর পর তিনি হলেন দ্বিতীয় কোন নারী নেত্রী যিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময় সন্তানের জন্ম দেন।
নিজেকে নারীবাদী হিসেবে প্রচার করলেও গত বছর দেয়া এক সাক্ষাতকারে জেসিন্ডা জানিয়েছিলেন, বিয়ের জন্য গেফোর্ডকে তিনি নিজে থেকে কখনো প্রস্তাব দেবেন না।
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে ব্রেনটন ট্যারান্ট নামে একজন বন্দুকধারী সন্ত্রাসীর গুলিতে ৫১ জন মুসল্লির নিহতের ঘটনায় যখন নিউজিল্যান্ডবাসী শোকে মুহ্যমান তখন অত্যন্ত সুনিপুণভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা। তিনি সেদেশের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছেন, যে সংহতি প্রকাশ করেছেন এবং তাদের প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তা বিশ্ববাসীর ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানবতাবাদী নেতা হিসেবে তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন।
বাংলা/এফকে