ছবি: সংগৃহীত
প্রচন্ড গরমে ঘামাচির সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। ত্বকের মৃত কোষ এবং স্টেফ এপিডারমাইডিস নামের জীবাণু ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় প্রতি নিয়ত শরীরে ঘাম তৈরি হতে থাকে।
কিন্তু ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ থাকায় সেই ঘাম বের হতে পারে না। তাই লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে ফুলে ওঠে। যা আমরা ঘামাচি নামে চিনি। এটা এমন এক অস্বস্তিকর সমস্যা যাতে সারা শরীরে জ্বালাপোড়া করে, চুলকায়। ঘামাচির সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন...
১.ঘামাচির জ্বালাপোড়া দূর করতে নিমপাতার পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এক মুঠো নিমপাতা গুঁড়া করে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় লাগান। কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তিন-চারদিন এটা ব্যবহার করলে ঘামাচি অনেকটা কমে যাবে।
২. বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১৫ মিনিট পর মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ঘামাচির সমস্যা দূর হবে।
৩. অ্যালোভেরা গাছের পাতার রস বের করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগাতে পারেন।বাজারে পাওয়া বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেলও লাগাতে পারেন।এতেও ঘামাচি কমে যাবে।
৪. চার চামচ মূলতানি মাটির সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ঘামাচির অংশে লাগিয়ে রাখুন।কয়েক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। এটা ঘামাচি কমাতে সাহায্য করবে।
৫. এক কাপ পানিতে আধ চামচ বেকিং সোডা গুলে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এর পর একটি পরিষ্কার কাপড় বা তুলা এতে ভিজিয়ে ঘামাচির জায়গায় লাগান।এটিও ঘামাচি কমাতে ভূমিকা রাখবে।
৬. বরফের টুকরা সকালে ও রাতে একবার করে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগান। এতে ঘামাচি তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
৭. আলু পাতলা করে কেটে ঘামাচির অংশগুলিতে লাগান। এতে চুলকানি ও ঘামাচি দুই কমবে।
৮. তরমুজের বীজ ছাড়িয়ে শাঁসটি সরাসরি ঘামাচিতে লাগান। টানা কয়েকদিন এটা করলে ঘামাচির সমস্যা কমে যাবে।