ছবি : বাংলা
রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
গ্রামের রাস্তার ধারে ঝোপ জঙ্গলে সবুজ গাছে ফুঁটে থাকে হলুদ রঙের ফুল। ঝোপ জঙ্গলে ফুটে থাকার জন্যই হয়ত মানুষকে তেমন আকর্ষণ করে না। তবে এই গাছ ও ফুলের ওষুধী গুণ রয়েছে। বই পুস্তকে এ গাছটির নাম দাদমর্দন।
দাদমর্দন গুল্ম শ্রেণির উদ্ভিদ প্রাকৃতিকভাবেই এই গাছ জন্মে বাড়তি পরিচর্যার দরকার হয় না। গত শুক্রবার রাজীবপুর উপজেলার আমবাড়ী গ্রামে পথের ধারে দেখা মেলে এই ফুলগাছের।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যোগাযোগ করলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষান দাস বলেন, ‘দাদমর্দন ফুলের গাছ গ্রাম অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে এই গাছ জন্মালেও শহরের বিভিন্ন বাগানে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য রোপন করা হয়।’
দাদমর্দন এর বিভিন্ন ইংরেজি নাম Candle Bush এবং বৈজ্ঞানিক নাম Senna Alata ক্যাশিয়া জাতের এই ফুল গাছটির শোভা বর্ধক ফুল ছাড়াও ওষুধী গুণেরও খ্যাতি রয়েছে।
চর্ম ও যৌন রোগে এই গাছের পাতার রস ব্যবহার করা হয়। দাদ (দাউদ) ও খোসপাঁচড়া রোধে এর পাতার রস ব্যবহার করা হয়। চর্মরোগে এই গাছের ব্যবহার বেশি হয় বলেই হয়ত এ দেশে দাদমর্দন নামে পরিচিত এই গাছটি।
দাদমর্দন গাছ খুব তারাতাড়ি বড় হয়। এর কাণ্ড হালকা হলুদ রঙের নরম সর্বোচ্চ দুই মিটার পর্যন্ত উচু হয় গাছটি। নরম-কাষ্ঠল গুল্ম উদ্ভিদ। এর পাতাগুলো অপেক্ষাকৃত বড় এবং সুবিন্যান্তভাবে সাজানো। পাতাসহ ডালের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৫৫ সেন্টিমিটার। খাড়া কাণ্ডে ও ডাটায় হলুদ রঙের ফুল ফোটে নিচ থেকে উপরের দিকে। ফুলের দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার।
রাজীবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক ইউনুস আলী বলেন, ‘দাদমর্দন গাছে ফুল হওয়ার পর ফল হয়। ফলের আপনা আপনি ফেটে ঝরে পরে। প্রস্ফুটিত অবস্থায় মুক্ত পাপড়ির সংখ্যা ৫ থেকে ৬টি, ২ থেকে ৫ সেমি চওড়া ফুল হয়, মাঝখানে কয়েকটি অসমান পুংকেশর থাকে। এই গাছের আদি নিবাস মেক্সিকো বলে জানিয়েছে তিনি।