ছবি : সংগৃহীত
প্রীতম দাম প্রিয়াস, ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ব্যক্তিগত কাজের জন্য যান সদর কাঠগোলা বাজারে। কাঠফাঁটা গরমের মধ্যে বাজারে পৌঁছানোর পর প্রীতমের গলা শুকিয়ে আসে। তাই তিনি সামনের একটি দোকানে আইসক্রিম কিনতে যান। স্বল্প মূ্ল্যের আইসললি তার সবচেয়ে প্রিয়।
দোকান থেকে স্থানীয়ভাবে তৈরী রুডো আইসললি নিয়ে দাম মিটিয়ে দিয়ে, মনের সুখে খেতে লাগলেন। কিন্তু মুখে দিয়ে তার বেস্বাদ হলো তার মুখ। এতো বেস্বাদ লাগছে কেনো? এর মেয়াদ আছে তো? মনে মনে এসব ভাবতে লাগলো প্রীতম। তার মনে শঙ্কা দূর করতে আইসক্রিমটির মেয়াদ দেখতে গেলে চোখ পড়ে যায় বিএসটিআই’র সীলের উপর। আর তাতেই ঘটে যত বিপত্তি। ওই সীলের নীচে ছোট্ট করে লেখা ‘বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত নয়’।
এ চিত্র দেখে মার্কেটিং পড়ুয়া প্রীতমের চোখ কপালে উঠে গেছে। সাথে সাথে দোকানদার মামার কাছে জানতে চাইলেন এটা কোন কম্পানির? তিনি (দোকানদার) তেমন কোনো উত্তর দিতে পারলেন না শুধু বলেন, স্থানীয় কোনো এক কম্পানির। প্রীতমের আর বুঝতে বাকী নেই এটা এক প্রকার প্রতারণা, যার শিকার তিনিও।
কিন্তু দোকানির এমন উত্তরে খুশি না হতে পরে পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে কয়েকটা ছবি তুলে প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন নিজেস্ব ফেসবুক এ্যাকাউন্টে। একই সাথে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষণ করেন তিনি তার স্ট্যাটাসে। বাংলা’র কাছে নিজের এ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন প্রীতম দাস।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)’র উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বাংলা’কে বলেন, ‘এটা বেআইনি, বিএসটিআই’র আইনের লঙ্ঘন। আমরা এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্তা নিব।’