হাইড্রেনজিয়া। ছবি : বাংলা
রুহুল সরকার, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) :
বাড়িতে ছোট একটি বাগান করেছেন রাশেদুল ইসলাম সেখানে লাগিয়েছেন বিভিন্ন পরিচিত জাতের ফুল গাছ। সেই বাগানের একটি অপরিচিত গাছে ফুটেছে চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়া ফুল। সঠিক নাম বলতে পারলেন না তিনি, তবে জানালেন ফুলটি নাকি রং বদলায়।
কাছে গিয়ে দেখলাম থোকায় থোকায় ফুল ফুটে আছে আবার কোনটি ফুটতে শুরু করেছে। গাছ জুড়ে ফোটা ও অফুটন্ত ফুলগুলোর রঙের কিছু বৈচিত্রতা আছে। ভাল লাগায় ছবি তুললাম নতুন দেখা এই ফুল গাছটির।
ফুলের কয়েকটি ছবি রাজীবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রণয় বিষান দাসকে দেখালে তিনি বলেন, এই ফুলটির নাম হাইড্রেনজিয়া। এটি গুল্ম শ্রেণির ফুল গাছ। বাংলাদেশ সচারাচর এই ফুলের গাছ দেখা যায় না বলেও জানালেন তিনি।
হাইড্রেনজিয়া ফুলের সুগন্ধ নেই। তবে এর চমৎকার একটি বৈশিষ্ট্য আছে ফুলটি রং বদলায় ফোটার সময় গাড় হলুদ তারপর সাদা এবং শেষে নীলচে বেগুনি রং ধারন করে ঝরে পড়ে।
হাইড্রেনজিয়ার বৈজ্ঞানিক নাম Hydrangea macrophylla এবং এটি Hydrangeaceae পরিবারভুক্ত ফুল। এ ফুলগাছটি দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হয়। টবে এবং মাটিতে সরাসরি দুই ভাবেই চাষ করা যায়। ছায়া যুক্ত ও স্যাঁতসেঁতে জায়গায়ও গাছটি বেঁচে থাকতে পারে।
এই ফুলের প্রায় ৮০ টি জাত রয়েছে শীত প্রধান এলাকায় বেশি জন্মে গাছটি। এর মঞ্জরিগুলো গুচ্ছবদ্ধ অবস্থায় থাকে ফুল আকারে বেশ বড় ও আয়তাকার দেখতে। পাপড়ির সংখ্যা চার বা ততোধিক, মসৃণ ও পুরু পাতা গোলাকার খসখসে। চীন ও জাপান এই ফুলের আদি নিবাস। বাংলাদেশে সাধারনত সাদা নীলচে বেগুনি রঙের ফুল গাছটি বেশি দেখা যায়।
হাইড্রেনজিয়া ফুলটি বসন্ত ও গ্রীষ্ম কালে ফোটে। আমাদের দেশে ফুলটি মার্চ থেকে শুরু হয়ে এপ্রিল পর্যন্ত ফুটতে থাকে। এর নজরকাঁড়া সৌন্দর্যের মানুষের চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। গাছটির পাতা লম্বাকৃতি ও খসখসে। গাছের ডাল কাটিং এবং গিঁট থেকেও এর বংশবৃদ্ধি করানো যায়।