ছবি : সংগৃহীত
বর্তমানে ইরাকে ব্যাপক খরা চলছে। এরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইরাকিদের জন্য খুশির একটি খবর হলো- এই খরার কারণেই প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে উন্মোচিত হয়েছে হাজার বছরের রহস্যময় একটি সাম্রাজ্যের পুরনো একটি প্রাসাদ।
সম্প্রতি জার্মানি এবং কুর্দি প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল ৩ হাজার ৪০০ বছরের পুরনো এই প্রাসাদটি আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। বৃহস্পতিবার জার্মানির তুবিনগেন ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানায়, পুরনো এই প্রাসাদটি রহস্যময় মিত্তানি সাম্রাজ্যের ছিল।
কেবলমাত্র খরার কারণেই এই প্রাসাদটি আবিষ্কার করা গেছে। কারণ প্রচন্ড খরায় ইরাকের মসুল বাঁধের জলাধারের পানির স্তর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।
প্রত্নস্থলে কাজ করা কুর্দি প্রত্নতত্ত্ববিদ হাসান আহমেদ কাসিম জানান, কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে আবিষ্কার করা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এটি। এর মাধ্যমে কুর্দি-জার্মানি সহযোগিতার সফলতাই প্রকাশ পেয়েছে।
গত বছর খরার কারণে টাইগ্রিস নদীর প্রাচীন তীর উন্মোচিত হয়ে যাওয়ার পরে প্রত্নতাত্ত্বিকদের একটি দল ওই অঞ্চলের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের জন্য জরুরী উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ওই ধ্বংসাবশেষগুলো মিত্তানি সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।
তুবিনগেন ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ ইভানা পু্লিৎস বলেন, ‘প্রাচীন মধ্যপ্রাচ্যের সাম্রাজ্যগুলোর মধ্যে মিত্তানি সাম্রাজ্য নিয়েই সবচেয়ে কম গবেষণা করা হয়েছে। এমনকি এই সাম্রাজ্যের রাজধানী পর্যন্ত এখনো চিহ্নিত করা হয়নি।’
প্রাসাদের ভিতর থেকে কমপক্ষে ১০ টি মাটির ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ট্যাবলেটে কীলকাকার লিপি খোদিত ছিল।
ইভানা পু্লিৎস জানান, প্রাসাদের দেয়ালে উজ্জ্বল লাল এবং নীল রঙের অবশিষ্টাংশ দেখতে পাওয়া গেছে। জার্মান গবেষক দল উদ্ধার করা লিপির পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা। মিত্তানি সাম্রাজ্যের প্রাসাদে পাওয়া কীলকাকার এই লিপিমালার অর্থ উদ্ধার করা গেলে ওই সাম্রাজ্য সম্বন্ধে আরো তথ্য জানা যাবে। প্রসঙ্গত, ৩ হাজার ৪০০ বছর আগে সিরিয়ার কিছু অঞ্চল এবং মেসোপটেমিয়ার (ইরাক) উত্তরাঞ্চল মিত্তানি সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল।
বাংলা/এফকে