ছবি : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস থেকে নেয়া
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে দেওয়া জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানকার অধিবাসীদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি বজায় রাখতে সব পক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এই খবর জানিয়েছে।
পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর দুই প্রতিবেশীর তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দুটি সংঘটিত হয়েছে কাশ্মীর ইস্যুতে। এক সামরিক নিয়ন্ত্রণরেখা দিয়ে কাশ্মীরকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের নাগরিকেরা দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিশেষ মর্যাদা ভোগ করে আসছিল। সোমবার (৫ আগস্ট) এক ঘোষণায় ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। একইদিনে কাশ্মীরকে দুই ভাগ করে সরাসরি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে রাজ্যসভায় একটি বিলও পাস করা হয়। এর আগে অঞ্চলটিতে বিপুল সেনা সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি গৃহবন্দি করে রাখা হয় সেখানকার বহু রাজনীতিবিদকে। পরে তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মর্গান অর্থাগাস এক বিবৃতিতে বলেন, কাশ্মীরের নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা ও তাদের স্বতন্ত্র অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানোরও আহ্বান জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনাবলি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাশ্মীর ইস্যুতে নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে ‘একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষ’ বলে দাবি করেছে ভারত।
গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দাবি করেছিলেন কাশ্মীর ইস্যুতে সমঝোতার জন্য তাকে অনুরোধ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে ভারত বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে। ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিকভাবে এর সমাধানের কথা বলে আসছে দিল্লি।
বাংলা/এসএস