ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি অভিযোগ করেছেন ঈদকে সামনে রেখে ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পশু বহন, ফিটনেসবিহীন বাসে যাত্রী পরিবহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। রেলপথে টিকিট কালোবাজারি, ছাদে যাত্রী ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে ঘরমুখো যাত্রীরা।
নৌপথে চলছে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। ফেরিঘাটগুলোয় বসে থাকতে হচ্ছে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। আর আকাশপথে ৪ থেকে ৫ গুণ বাড়তি দামে টিকিট কিনতে হচ্ছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ঈদযাত্রা নিয়ে এসব অভিযোগ তুলে নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী বন্ধের দাবি জানায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে যানবাহনের গতি কমায় ধীরগতির কারণে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে থেমে থেমে যানবাহন চলছে। অন্যদিকে পথে পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির কারণে সড়ক-মহাসড়কে কৃত্রিম যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও পশুর হাটের কারণেও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে শতশত যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকায় দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ছে হাজার হাজার ঘরমুখো যাত্রী। পারাপারের অপেক্ষায় ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা বসে থেকে অভুক্ত যাত্রীরা পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-ঘাট পার হচ্ছে। প্রতিটি ঈদের মতো এবারো অভ্যন্তরীণ রুটে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়তি দামে টিকেট কাটতে বাধ্য হচ্ছে আকাশপথের যাত্রীদের।
সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ঈদকে কেন্দ্র করে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে ভাড়া ডাকাতি চলছে। রিকশা, অটোরিকশা, বাস-মিনিবাস, হিউম্যান হলার, লঞ্চ, বিমান সর্বত্র যে যার মতো ভাড়া আদায় করছে। চট্টগ্রাম থেকে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা ও উত্তরাঞ্চলের প্রতিটি রুটে স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলসহ ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীর প্রতিটি রুটের স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, এই ঈদে ঢাকা থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ, দেশব্যাপী এক জেলা থেকে অপর জেলায় যাতায়াত করবে আরও প্রায় তিন কোটি ৫০ লাখ যাত্রী। সব মিলিয়ে ১২ দিনে যাতায়াত করবে প্রায় চার কোটি ৫৫ লক্ষ যাত্রী।
বাংলা/এএএ