জ্বর
জ্বর একটি দীর্ঘ উষ্ণ আলিঙ্গন
আমি জ্বরের জন্য অপেক্ষা করি
সে আমাকে ঘোরের দিকে টানে
দুপায়ে কিছুটা ভার সেঁটে দেয়
আমি এলোমেলো পা ফেলি
আরেকটু হলেই বমি করে দেবো
আমি চোখ লাল করি
কাউকেই চিনতে পারি না
প্রেমিকাকে প্রাচীন মমির খোল মনে হয়
মনে হয় পচা ভঙ্গুর মাংসের স্তূপ
মা, সে যেন আমাকে এখনো জন্মই দিয়ে যাচ্ছে
বাবা, পাউরুটি আনতে গিয়ে নিজেই পাউরুটি হয়ে গেছে
আমার বোন সেই কবে থেকে একটি বন্ধ্যা লেবু গাছে
পানি দিচ্ছে একটি সুগন্ধি লেবু ফলের আশায়
কারবালার এই তৃষ্ণাতেও যে দিচ্ছে না একটি তৃপ্তি
ভাই, সে কোন দূরে দাঁড়িয়ে দিচ্ছে আজান
তার মিহি সুর কি পৌঁছে এই বধিরের কানে!
জ্বর আসলে হাড়ে হাড়ে বাড়ি লাগে
ভঙ্গুর সমাধির মত সব ভেঙ্গেচুরে পরে
বাঁশ ঝাড় আছড়ে পরে মাথার উপর
আমি মাকে জড়িয়ে ধরতে চাই
কিন্তু সে তো কাতরাচ্ছে প্রসব ব্যথায়!
বাবা, একটি পাউরুটি
বোন, বন্ধ্যা লেবু গাছে
ভাই, দূরের মুয়াজ্জিন
প্রেমিকা, সে তো প্রাচীন মমি
জ্বর এলে শুধু জ্বরকেই জড়িয়ে
ধরি আর কাঁপি তার উষ্ণতায়
কেমন করে
আমি কেমন করে এই হরিষে হরিৎ বনে চিত্রা ধরি
কেমন করে কুমড়া ফুলে শিশির থেকে মুক্তা ছানি
কেমন করে তোমার কানে গুঁজে থাকা গোলাপ ধরি
কেমন করে কাষ্ঠ চিড়ে নৌকা বানাই জলে ঘুরি
তুমি আমার দিশার বনে
আড় থেকে দাও অনেক
বাতাস
তুমি আমার দিশার বনে
কেমনে কর
বেদিশার চাষ!
কেমন করে বলো তুমি
কেমন করে বলো তুমি