• ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:৫৫:৩০
  • ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:২২:৩৮
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

জাবিতে দুর্নীতির তদন্ত চান উপাচার্যপন্থী সিনেটররাও!

ছবি : বাংলা

জাবি প্রতিনিধি :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রয়োজন মনে করছেন উপাচার্য পন্থী সিনেটরা। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন উপাচার্যপন্থী সিনেট সদস্যরা।

এ সময় উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহম্মেদ বলেন, ‘ব্যক্তি ফারজানা ইসলাম সম্পর্কে আমাদের অনুমান এক ধরনের। আর প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার কর্মদক্ষতার অভাব থাকতে পারে। উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার উনি কিভাবে তদন্ত করবেন? তদন্ত করতে হলে একটা থার্ড পার্টি লাগবে। যদি আদালতে যেতে চায় তবে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষন করুক কেউ। পত্রিকার রিপোর্টেও ভিত্তিতে যদি বলে দুর্নীতি হয়েছে তো তদন্ত হোক। তদন্ত কি আমরা করবো? জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ করবে?।’

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘উপাচার্য ম্যাডামের অনেক দায়িত্ব আর সেই দায়িত্ব পালন করতে গেলে ভুল ত্রুটি হবেই। মেগা প্রকল্পের আওতায় আমরা সাড়ে চারশ কোটি টাকা পেয়েছি। যদি আজ জাকসু থাকতো তাহলে যে কোন উন্নয়ন থেকে একটা পার্সেন্ট জাকসুর জন্য থাকতো। সেটার ধারাবাহিকতায় হয়তো যারা সরকারপন্থী তাদের সাথে কোন বিনিময় হয়েছে কিনা। এটা কিন্তু আমরা কেউ আসলে জানিনা। তবে পত্রিকার মাধ্যমে দেশবাসী দুর্নীতির যে অভিযোগ জেনেছে তা প্রমাণ করার দরকার তাদের যারা অভিযোগ এনেছে। যাদের কাছে প্রমাণ আছে তারা অভিযোগ দিক। এইজন্য উপাচার্য ম্যাডাম বলেছেন আপনারা প্রমাণ করেন, দুর্নীতির তদন্ত হোক প্রমাণ করুন।’

এ সময় উপাচার্যপন্থী সিনেটর মেহেদী জামিল বলেন, ‘বর্তমান যে পরিকল্পনাগুলো হাতে নেয়া হয়েছে তা শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে টেন্ডার প্রক্রিয়ার দুর্বলতা নিয়ে সিনেটেও কথা বলেছি। এই দুর্বল যায়গাগুলো নিয়ে যাতে ভবিষ্যতে কাজ না করা হয় সেকথাও বলেছি। সেখানে দুর্নীতি হতেই পারে আমি বলতে পারবো না দুর্নীতি হয় না বা হতে পারে না। আমি ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ছিলাম এটা একটা ট্রাডিশন উন্নয়ন কাজের সাথে যে তারা কিছু পায়না এমন না। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের সাথে লিয়াজু করে তারা কিছু পেতেই পারে। তবে এটা হয়ে থাকলে অবশ্যই সেটা দুর্নীতি এবং সেটা দেখার সু নির্দিষ্ঠ প্লাটফর্ম আছে।’

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১৪৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। পরবর্তীতে প্রাথমিক ভাবে উন্নয়ন প্রকল্পের ৬ টি হল নির্মাণের জন্য সাড়ে চারশ কোটি টাকা আসে। টাকা আসার পর প্রকল্পের টাকা থেকে দুই কোটি টাকা ছাত্রলীগকে দেয়ার অভিযোগ উঠে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠার পর থেকেই বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিনদফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন তারা। অবরোধ শেষে আগামী দুইদিন একই দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ঘোষণা দেন তারা।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1663 seconds.