• ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৯:৪৫
  • ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৩:৪৯:৪৫
অন্যকে জানাতে পারেন: Facebook Twitter Google+ LinkedIn Save to Facebook প্রিন্ট করুন
বিজ্ঞাপন

জাবিতে অবরোধের দ্বিতীয় দিন

ছবি : সংগৃহীত

জাবি প্রতিনিধি :

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ও তার পরিবারের বিরদ্ধে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিনদফা দাবিতে টানা তিনদিনের প্রশাসনিক ভবন অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে সাতটায় ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ এই ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন-পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এর আগে তিন দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের  কোনো আশ্বাস না পেয়ে আরো দুইদিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

এসময় ভবন দুটির প্রবেশের সবগুলো ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভবনে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন।

এদিকে অবরোধ চলাকালে সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম ও উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন। এ সময় তারা কোনো যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে না পেরে ফিরে যান।

এরপর সকাল দশটায় আবারো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলেন অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। তবে শিক্ষার্থীদের ‘শর্ত সাপেক্ষে’ আলোচনার প্রস্তাবে অস্বীকৃতি জানান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের আলোচনার প্রস্তাব দেননি। আমরা কয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি কিন্তু তারা আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করছেন না।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান  বলেন, ‘আমাদের দাবি সমূহ স্পষ্ট। এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্যও স্পষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের আলোচনার প্রস্তার নিয়ে আসেননি।’

প্রকল্পের টাকা নিয়ে করা দুর্নীতির অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ আন্দোলনকারীদের বাকি দুই দাবি হলো- বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে নির্মিতব্য তিনটি দশতলা হলের বিকল্প স্থান নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন।

আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নে যে মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হচ্ছে তা অপরিকল্পিত-অস্বচ্ছ। আর এ অপরিকল্পিত উন্নয়  প্রকল্প পুনর্বিন্যাসসহ দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
Page rendered in: 0.1485 seconds.