ছবি: সংগৃহীত
শ্রদ্ধাঞ্জলি, হে প্রিয় কবি
সিম্পলি তোমার আঙুলের ফাঁকে গলে যেতে চাই।
চোখে নিয়ে দেখো, কাজলের মত নোনা জলে মিশে যাবো;
তারপর যোজনজীবনের দৈর্ঘ্য নিয়ে গড়িয়ে পড়বো গলায়।
তোমার বুকেই হবে মহাপ্রয়াণ। গাছেদের মত শুকিয়ে শুকিয়ে
পৃথিবীর সব খরার স্বাদ হৃদয়ে নিয়ে শুয়ে পড়বো নীরবে।
এই পৃথিবীর সব সুর একসাথে বাজালেও আর জাগিবো না
ভয়েসকল
আমি স্পষ্ট টের পাই, এইমাত্র দিলে তুমি;
বক্ষবন্ধনীতে দিলে তুমি শক্ত গিড়ো।
চুল পড়লো ধপ করে বুকের উপর
বালতির পানিতে কোমল ঢেউ, চেয়ে আছো তুমি
তোমার কপালে ঋষীপত্নীদের মত ভাঁজ কেনো?
হাসবে তুমি এখনই, আমায় ভাবছো তুমি!
সেদিনের মেলায় হাত ধরে হেঁটেছিলাম
বাদাম, চানাচুর, আইসক্রিম আর ফুস্কার
দোকানে আমরা হেলে পড়েছিলাম পরস্পরের দিকে।
তোমার মনে পড়ছে, তুমি হাসছো এখন
তুমি তুলছো কপালের টিপ, দিয়েছিলাম সেদিন।
আমি স্পষ্ট টের পাই, তোমার হাতের জল
গড়িয়ে পড়ছে পবিত্র পানির ফোঁটার মত,
তোমার পায়ের পাতা জ্বলছে ডুবন্ত চাঁদের মত,
তাতে আমার প্রতিবিম্ব তোমার চোখে!
আমি স্পষ্ট টের পাই তোমার উপস্থিতি।
তিতলী
তবুও তোমার উষ্ণতায় কাঁপে নাই বুক;
এই পৃথীবীর যত নারী সংসার করিয়াছে সুখে
যারা আবার দলে দলে আসিতেছে ফিরে
তাদের মুখ আমিও দেখিতে পাই তোমার মুখে।
আর যারা চলে গেছে অভিমান করে-
শাশ্বত পৃথিবীর মাটিরে করিয়াছে হেলা
সেই সব মুখগুলো তোমার ছায়া।
তোমার হাসির মাঝে যে আগুনের ফুলকির মত নিরীহ সুন্দর
খেলা করে কবুতরের মত শাদা রং যাহাদের হৃদয়ে
তাহারাও আমার আপন; প্রিয়জন বলে ডাকি তারে!
আবার বসবে যেদিন হৃদয়ের পর
সূর্যের উত্তাপ দেবো তোমায়!
উত্তরাধুনিক চিঠি
আমার সামনে দাঁড়াও;
একটু হেসে পা দুটো বাড়াও;
খুলে ফেলো সব অন্তর্বাস;
তোমাকে দেখতে চাই যেমন জ্বলেছিলো আলো তূর পাহাড়ে;
বহুকাল আগে!