ছবি : সংগৃহীত
সাইকোডেলিক এ সকালে
সাইকোডেলিক এ সকালে-
ঠোঁট জোড়া কাছে আসে,
চুমুর কথা বলতে বলতে-
হঠাৎ চুপসে যায়!
মেলানকোলির সুর বাজে বাতাসে।
পরাণ টাটায় তার খাসলতে!
সাইকোডেলিক এ সকালে-
মনোলিথিক গাঁথুনি-!
সেই ছাঁচে গড়ে ওঠা ব্যথা-
একটানা কামড়ায়।
কাছে-দূরে কোথাও বিবশ হয়ে পড়ে থাকে সুন্দরীরা তাদের হৃদয়ের ক্ষয়ে।
পরাণ টাটায় তার খাসলতে!
সাইকোডেলিক এ সকালে-
সারারাতের ক্লান্তিতে-!
শিল্পরা পড়ে পড়ে গোঙায়
তাদের একাকী দুঃখে।
শুধু মানুষ কোঁকায়-তার হৃদয়ের একান্ত ব্যথায়-ঠাঁই খুঁজে কোনো এক হৃদয়ের একান্ত নীড়ে।
পরাণ টাটায় তার খাসলতে!
সাইকোডেলিক এ সকালে-
প্রতিসারী আলো এসে-!
চোখ ঝলসে দ্যায় মুহূর্তেই!
নিউরন ছিঁড়ে ছিঁড়ে
ছিটকে ছিটকে বের হয়-
থোক থোক চিন্তার অনুলিপি!
কিলবিলিয়ে ওঠে মগজ।
পরাণ টাটায় তার খাসলতে!
সাইকোডেলিক এ সকালে-
সঙ্গমে ক্লান্ত চাঁদ
আশ্রয় খোঁজে পৃথিবী পাড়ে-!
কিনে ফ্যালে তারে ধীরে-
গিলে ফ্যালে তারে ধীরে ধীরে
সাম্রাজ্যবাদী আকাশ-!
গোপনে বিক্রি হয়ে যায় মানুষের শ্রম-তার একান্ত চাঁদের আলো।
তাই পরাণ টাটায় তার খাসলতে!
সাইকোডেলিক এ সকালে-
মানুষ মানুষরে গিলছে হরদম
বেচাকেনায় নেই কোনো দরদাম!
মাংসের সাথে মাংস মিলছে
কেনার সাথে বেচার তফাতে!
মানুষ খাবার হয়ে চলে যাচ্ছে মানুষের টেবিলে-!
পরাণ টাটাচ্ছে তার খাসলতে।
সাইকোডেলিক এ সকালে-
মানুষ মানুষরে খেয়ে দ্যায় গোপনে
পরাণ টাটায় তার বাইনারী খাসলতে!