ছবি : সংগৃহীত
এন্টিকৃষির দিকে
আমার ক্ষমা কি সমস্ত গ্রন্থির থেকে ভারী হয়ে
নিরুত্তর পুরুষের দিকে
ফেলে আসে জটিলতা!
সামান্য ঘূর্ণির কাছে এই এক অবশিষ্ট উড্ডীন, নেমে যাও স্বতন্ত্র হিংসায়—
পরশ্রী-ভর্তি যত দুপুরের ফেনা
রেখে আসে লোকাচার, টাকা পাঠানোর শিষ্টতা!
কাঠ কি অনুধাবনের চেয়েও সরল—!
এমন বিমাতার কাছে আমার পৌরুষলীন ত্বক
ফালতু শ্রদ্ধাবোধে নুয়ে যায়—
যেন গত শীতে আমিও টিকিট কাটি নি বাসের!
রাস্তায়, অজস্র ইগোর পাশে একটা মাজার
শুয়ে থাকে আব্রুহীন, সাবঅল্টার্ন দূরে—
শোনো বীজ, প্রাণপণ আরবান
রবারের বিশুদ্ধতা নিয়ে উড়ে যাও পথে পথে এন্টিকৃষির দিকে—
কৈ
*
বর্ষা মৌসুমে কিছু কৈ
উঠে আসে ফেনায় ভর দিয়ে
হয়ত ঘর ছিল তারও সোনালি হাওয়ায়
হরিৎ মর্মরের ফাঁকে
সখা বদলের দিনে অলস শ্যাওড়াতলে
রাত্রির কেয়াবনে নেমে আসে থৈ থৈ আঁশ—
*
দেখেছো অন্ধকার, অশোক-স্তব্ধতার পাশে—
এখানে ঘুমের সুরে
কত শত তারা-নেকলেস
অতনু হাওয়ার কাছে শেফালিও পাপ করে ঘ্রাণ
টোটেম-বিরহ রেখে
কতদূর আপ্ত পরস্পর
জেগেছে পতঙ্গভাব বর্ধিত ঝাপটার নিচে—
সাবকনসাস
ঝরা ভাব নিয়ে একটি সামান্য পাতা
নুয়ে আছে হিংসার উপর
কানা বিড়াল তার চিৎকার শুনবে বলে
ঝিম ধরে বসে আছে লোমে
মাবুদ, ভাষা দাও তাকে—
ম্যাজিক রিয়ালিজম আর কতদিন
সইবে প্রভূত ভর এই বাস্তবতার কালে!
আমাদের সমস্ত পয়সাই তো হাওয়া হয়ে গেল
ব্রোমাজিপাম কিনে—
পাতাটা পড়লে অন্তত খস খস শব্দ হতো জুতায়
আঞ্জুমান
রাস্তায় তুমি ও সে
একদিন একা হতে হতে
লোকাল ট্রেনের ধোঁয়া হঠাৎ আলাদা উড়ে
ছড়ায়—প্রভূত সারকাজম
আমাদের অহেতুক শঠতা—
মাবুদ, চাকুরিরত ঐ লোকটাকে
দেখিয়ে দাও প্রেম—
যেন থ্যাৎলানো মগজ নিয়ে বিশ্বরোডের এই সন্ধ্যায়
খুঁজে পায় আঞ্জুমান পৃথিবীর বেওয়ারিশ থেকে বেঁচে
সমস্ত ভঙ্গিমা আর খুচরা পয়সা তার
উড়ে যায়
নিখিল এন্ট্রপির দিকে—