ছবি: সংগৃহীত
কিষাণ
মনের বনে ডুবে থাকা সরোবর তুমি
লোমকূপে ভেসে ওঠা জলেশ্বরী
হৃদয়থলিজুড়ে
থরোথরো স্পন্দন
তুমুল রোদের দুপুরে টপটপ শিশির ঝরো
কাঠফাটা ভূমিতে আর্তনাদ হয়ে বেঁচে আছো বহুকাল
বহুকাল বেঁচে থাকো তুমি মাটির পরতে পরতে
তোমাদের কণ্ঠ নীরব, না পাওয়ার অনুযোগ নেই কোনো
অনাহারী চোখেও সুখের দোলাচলে চকচকে দ্যুতি
শেষ বিকেলের শোভা বাড়ায় জলদি পায়ের হাটমুখী গতি
রোদে পোড়া চামড়ার আলাদা সৌন্দর্য থাকে
ঘামে-ভেজা মাটি-মাখা শরীরের রূপ অনবদ্য
নন্দনকলা এর সংজ্ঞা দিতে ব্যর্থ
কোনো কোনো দিন তোমাদের পেট ভরে না
উতলা বাতাসে প্রাণ ভরাও তোমরা
তারার রাজ্যে খুঁজে ফেরো নিজের কালপুরুষ
অমলিন চিত্তজুড়ে জ্বালাও পূর্ণিমা
পোড়া ঠোঁট ছুঁয়ে যায় অনাদরে পড়ে থাকা অন্তরনারীর গ্রীবা—
মুষড়েপড়া বেদনায় প্রাণভরে ডাকো ‘আলতাবানু’
তোমাদের কবরের কোনো নিশানা থাকে না
ভালোবাসার থাকে না প্রমাণ
তবু ওই ধ্রুপদী চাহনি বেঁচে থাকে হাজার বছর
অনবদ্য সেই (পরিশ্রান্ত, তৃপ্ত) অমর অবয়ব
জিনেটিকস ব্যর্থ এখানে—
বৃষ্টি তোমার বন্ধু রৌদ্রের সখা তুমি,
ধরিত্রী হাসে তোমার মুখে, কিষাণ রূপে কে তুমি জানে অন্তর্যামী!