ছবিঃ সংগৃহীত
খিস্তি-কাব্য
রণসঙ্গমে বর্ম খুলে রেখে তুমি হাতে তুলে নাও আল মাহমুদ ও আরো কিছু কবি, শীৎকার নয়...বরং
প্রলাপের মত চলতে থাকে সোনালী কাবিন-জলবেশ্যা,
কবি! তুমি কাব্যের মতো...দেহের বদলে শুধু দেহই দিতে চাও, আর আমি চাই এর চেয়ে অধিক কিছু;
সুললিত পদ্য ছেড়ে চলে আসো এইখানে
এক হাঁড়ি মহুয়াজল গিলে বের করে আনো
থলের বিড়াল, এবার একরাশ খিস্তি- কাব্য হোক।
কবি আমার! সংকোচের আধখানা হৃদয়
ভিজায়ে রাখো চুম্বন রসে,
মারিয়াম ফুল প্রসারিত হোক অলিন্দ -নিলয়
ক্রীতদাস কিংবা প্রেমিক কেন? তুমি—
বিদ্রোহানলে এসো, যাতে একটি ইশারায়
জ্বলে ওঠে নাভি-নিতম্ব-পদ্মদাম।
কবি! অনেক ডেকেছো "প্রিয়তমা" বলে
এবার মহুয়ার রস গিলে খিস্তি-কাব্য ছাড়ো—
ডেকে যাও "মাগী" মধু-নামে!
শোক
সারি সারি সুপারি পাতার ছায়ায়
তোমাকে পাব ভেবেছি—
বিলের শামুকে রেখে আসা রক্তের দাগে
তোমার পৌরুষে তাক লেগে যাওয়া
হরবোলা
ফেরিওয়ালা
কিশোরের চোখ
সারি সারি পাতায়
জলে জঙ্গলে
তোমার চুইয়ে পড়া রোমে
বন-তিতির
আহত শুওরের শ্রবণাতীত আর্তরবে
শুনতে পাব তোমাকে
অনিদ্র সন্ধ্যায়
তোমার বুকে ঢলে পড়বে
শতবর্ষী নারীর শোক
সারি সারি সুপারির বন
তোমার পিঠে জেগে থাকা অনীশ্বর তারার মতন নীল ঘামাচি
সেইখানে আমার নখ,
চেপে ধরব অস্খলনযোগ্য দুধগঙ্গা!
জলে জঙ্গলে
তোমার চুইয়ে পরা রোমে
বন-তিতির
আহত শুওরের আর্তরবে
ভেবেছি শুনতে পাব তোমাকে
তোমার পিঠে জেগে থাকা অনীশ্বর তারার মতন নীল ঘামাচি-- সেইখানে আমার নখ!
নাহ, আর হলোনা...
এইসব দৃশ্যরা তোমার
ইটভাঙা শ্রমিকের হাতুড়ি দেখা যায়—
অতর্কিতে বেরিয়ে আসে পাথরের গোপন ফাটল,
কামিজে ঝনঝন করে পুরোনো মোহরের মতো দুধ;
টং দোকান থেকে দুজন বুড়ো আদম
শাবল গেঁড়ে দেখে প্রত্নঘটী
যদিওবা বেঞ্চিতে ঠেকে আছে ফলদ প্রোস্টেট,
ফুঁসে ওঠা কেতলীর ভেতর নেতিয়ে পড়ছে চা
একটা দুইটা হলিউড পুড়ছে
মেয়েরা হেঁটে যাচ্ছে গার্মেন্টস—
হাতে টিফিন ক্যারিয়ার
চুল চুয়ে নেমে গেলো রাতের গলদঘর্ম।
—পথের পাশে এইসব দৃশ্যরা তোমার
অথচ, তুমি একটা ক্লোজশট হয়ে ফ্রেমে —
মেডিক্যালে পড়ে আছো
চোখ স্থির, নুয়ে আছে ঝড়ে ভাঙা ডানা!