ছবিঃ সংগৃহীত
এপিটাফ-১
তোমার সাথে যখন দেখা হয়েছিল তখন ভয়ানক দুঃসময়,
সদ্য কৈশোর পেরোনো পৃথিবীর চোখের আগুন অভিমানী মরুর ভেতর দিয়ে ক্রল করে করে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সমতলে নামতে শিখেছে মাত্রই,
মানুষ শিখছিল আগুনে পোড়া ধাতু কীভাবে ভালোবেসে নাকফুল হয়,
আর আমি
গাছেদের কাছে প্রেম নিবেদনের কলা- নিস্তব্ধে।
মুষড়ে পরা সঙ্গীত শুনে শুনে
তোমার বুকেও তখন ফোটে ডালিয়ার বিস্ফোরন,
পৃথিবীর অভিভাবকদের চোখ সেই উদ্ধত কুসুমে।
ফুলের ডালি ভরে ওঠে,
মঙ্গলবায় বয়,
সালফার জলে ভিজে পলিমাটি পাথর হয়,
তারকাটা সময় দিকে দিকে গড়ে তোলে কাঁটাতারের বঞ্চনা,
মানুষ হয়ে ওঠে পৃথিবীর প্রতিপক্ষ,
দুঃখপ্রকাশ ছাড়া কী-ই বা করার ছিল
কুড়ি কিবা চালশের ছেলেটার!
বৃত্ত
গতকাল সূর্য,
চন্দ্রের নিকট তার দেয়া ধারের আলো ফেরত চাইল,
সামান্য সুদসহ।
চতুর চাঁদ
সুন্দরী চাঁদমুখ
স্নিগ্ধ-মমতাময়ী-অসহায় চন্দ্র
দৌড়ে এসে বিচারক মানলো আমাকেই।
আমিও-
সোজা বলে দিয়েছি-
বন্ধুরা-সাথীরা,
পূর্ণিমা এবং অর্ধচন্দ্রের আলোতে যেসব আনন্দে তোমরা ভেসেছিলে,
ভেবেছিলে-
অধিবৃত্ত আর উপবৃত্তের মাঝে পার্থক্য এই যে,
একজন অন্যদের আগলে রাখে
আর অন্যজন শুধুই নিজেকে!
যেসব সুখ তোমরা চাঁদের আলোতে উপভোগ্য করে তুলেছিলে-
কবিতায়-ছন্দে
সাগরবেলায়
সদ্যবিবাহিত দম্পতির
তেতারায়
জেলখানায়,
আর যাদের ঘরে কোনো আলো ছিলোনা বলে
চাটাইয়ের বেড়া ভেদ করে ঢুকে পড়েছিল বৃত্তাকার আলোর ছন্দ- অভিলম্বে,
তোমাদের সকলের প্রাপ্ত সুখ
বিসর্জন দিতে হবে আজ
সূর্যকে,
সুদ হিসেবে।