ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি ক্যাফেতে অন্তঃস্বত্ত্বা একজন মুসলিম নারীকে এক ব্যক্তি কিল-ঘুষি এবং লাথি মারছে এরকম একটি ভিডিও সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ভয়াবহ এই ঘটনাকে ইসলামোফোবিক বা ইসলামভীতি বলে উল্লেখ করেছে দেশটির ইসলামিক সংগঠনগুলো।
২০ নভেম্বর, বুধবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানায়, ৩১ বছর বয়সি রানা এলাসমার সিডনির ক্যাফেতে একটি টেবিলে বসে দুইজন নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। তিনজনের মাথায় হিজাব ছিল। এসময় একজন ব্যক্তি তাদের দিকে এগিয়ে আসে।
কোন কারণ ছাড়াই ৪৩ বছর বয়সি স্টাইপ লোজিনা অন্তঃস্বত্ত্বা এলাসমারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। ঘুষির আঘাতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে পা দিয়ে লাথি মারা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েজন লোজিনাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পত্রিকাটি জানায়, ওই নারীকে আঘাত করার আগে হামলাকারী মুসলমানদের নিয়ে কিছু মন্তব্য করে।
এদিকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, লোজিনা ওই তিনজন নারীর টেবিলের দিকে অগ্রসর হয়ে কিছু কথা বলে। এরপর এলাসমারকে লক্ষ্য করে ঘুষি মারতে থাকে। এলাসমারের মাথায় অন্তত ১৪ টি ঘুষি মারতে দেখা যায় তাকে।
আহত রানা এলাসমারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশ জানায়, রানা এলাসমার ৩৮ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। হামলাকারী স্টাইপ লোজিনার বিরুদ্ধে শারীরিক ক্ষতি করা এবং মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে এটি ইসলামোফোবিক কোন ঘটনা কি না সে ব্যাপারে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পুলিশ।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেশন অব ইসলামিক কাউন্সিলস বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) জানায়, হামলাকারী ব্যক্তিকে ওই তিনজন নারীর সামনে মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করতে অনেকেই শুনেছেন।
সংগঠনটি এটিকে সুস্পষ্টভাবেই বর্ণবিদ্বেষী এবং ইসলামোফোবিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে।
চার্লস স্টার্ট ইউনিভার্সিটির করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামোফোবিয়া ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেসব নারী হিজাব পড়েন তারা বেশি হামলার ঝুঁকিতে আছেন।
বাংলা/এফকে