ছবি: সংগৃহীত
চীনের নতুন একটি ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। চীনে পরিবারের ভেতর জন্ম নেয়া একটি নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে থাকতে পারে। তবে বিশ্বজুড়ে এর সংক্রমণ উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ১৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া এমন সতর্কতার তথ্য দিয়ে সংবাদ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ভাইরাসের একটা বৃহত্তর শাখা হল করোনাভাইরাস, যেটি সাধারণ ঠাণ্ডা থেকে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) পর্যন্ত সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজন চীনা নারীকে থাইল্যান্ডে শনাক্ত করার পর তাকে পৃথক করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ বলছে, চীনের বাইরে এ ধরণের ভাইরাসের শনাক্তকরণ এই প্রথম ঘটনা। চীনের শহর উহানে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৪১টি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। এসবের প্রাথমিক ল্যাব টেস্টের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সেসব সম্ভবত একটি নতুন ধরণের করোনাভাইরাস থেকে হতে পারে। এতে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে উহান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানিয়েছে।
‘যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি সেসব থেকে বলা যাচ্ছে যে, সীমিত আকারে এটা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে পরিবারগুলোর মধ্যে। তবে, এটা পরিষ্কার যে এখন পর্যন্ত সংক্রমণের কারণে আক্রান্ত কাউকে পাওয়া যায়নি’, বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রোগ শাখার ভারপ্রাপ্ত প্রধান মারিয়া ভ্যান কার্খোভ।
যাহোক, সংস্থাটি সম্ভাবতার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে যে একটি ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়তে পারে, তিনি জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। 'এটা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়।'
কিছু ভাইরাস আছে যেগুলো অতোটা জটিল নয়, আর কিছু আছে যেগুলো এমইআরএস এর কারণ সেসব বেশি বিপদজনক।
সংক্রমণ রোধ করতে ইতোমধ্যে জাতিসংঘের সংস্থাটি বিশ্বজুড়ে হাসপাতালগুলোতে দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই, তবে অ্যান্টি-ভাইরালস এক্ষেত্রে বিবেচিত হচ্ছে, বলেন তিনি।
বাংলা/এনএডি