ছবি : সংগৃহীত
সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া দাবানলে এখনো জ্বলছে অস্ট্রেলিয়া। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট এই ভয়াবহ দাবানল থেকে রেহাই পেতে ভারী বর্ষণের জন্য দেশটিকে অপেক্ষা করতে হবে মার্চ মাস পর্যন্ত। দেশটির আবহাওয়া ব্যুরো বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে পুড়ে গেছে জার্মানি আয়তনের এক তৃতীয়াংশ জায়গা। এতে নিহত হয়েছে ২৯ জন এবং বাড়ি-ঘর পুড়ে গেছে ২ হাজারেরও বেশি। প্রাণী পুড়ে মারা গেছে ১শ কোটিরও বেশি।
অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো বলেছে, মার্চ থেকে মে পর্যন্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলে ৫০ ভাগ সম্ভাবনা রয়েছে গড় বৃষ্টিপাতের। তারপরও আরো অধিক বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন হবে পূর্ব-উপকূলের তিন বছরের খরা কাটাতে, ব্যুরো অফিস সতর্ক করে দিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছে, ঐতিহাসিকভাবে ভয়াবহ দাবানল মৌসুমের চালিকাশক্তি হল জলবায়ু পরিবর্তন। এই দাবানল চলবে আরো কয়েক মাস এবং দাবানল মৌসুমের সর্বোচ্চ চূড়া এখনো আসেনি বলে তাদের ধারণা।
শুধু নিউ সাউথ ওয়েলসেই ১৩৬ টি আগুন এখনো জ্বলছে এবং ৬৯টি এখনো বাকি আছে। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ২০১৯ সাল ছিল সবচেয়ে উষ্ণ এবং শুষ্ক।
ইদাহো বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবানল গবেষক ক্রিসটাল কোলডেন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘গাছপালা যখন শুকনো হবে তখন এটি জ্বলবে। তবে আপনি যখন এই চরম উত্তাপ যুক্ত করবেন তখন এটি আরো বেশি জ্বলতে বিবর্ধিত করবে।’
পরিস্থিতি এতোই ভয়াবহ যে জলবায়ু পরিবর্তন অস্বীকারকারী হিসেবে পরিচিত দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন দাবানল নেভাতে সাহায্য করার জন্য ৩ হাজার সেনাবাহিনীকে নিউ সাউথ ওয়েলসে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের শীর্ষ কয়লা রপ্তানিকারক দেশ। কয়লা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রচ- কার্বন নির্গমনকারী ফসিল ফুয়েল। রাশিয়া এবং সৌদি আরবের পরে অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় বৃহত্তম ফসিল ফুয়েল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত।
বাংলা/এনএডি