ছবি: সংগৃহীত
২০১৯ সালে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক জায়গা ছিল লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল। এসব অঞ্চলে অন্তত ২২ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল যা সারাবিশ্বে গণমাধ্যমের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক জায়গা হিসেবে পরিণত করে। এরপরে অবস্থান যথাক্রমে এশিয়া-প্যাসিফিক এবং আরব দেশগুলোর, যেখানে ১৫ জন এবং ১০ জন করে সাংবাদিক হত্যার সংবাদ আছে।
ইউএন নিউজ এ খবর জানাচ্ছে। জাতিসংঘের ইউনেস্কো দ্বারা পরিচালিত অবজারভেটরি অফ কিলড জার্নালিস্ট এর তথ্যাগার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যাচ্ছে, গত দশকে ৮৯৪ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়, প্রতি বছর গড়ে ৯০ হয়ে দাঁড়ায়: সাংবাদিক হত্যা ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে প্রায় অর্ধেক কমে যায়, কিন্তু সারাবিশ্বে প্রেসের সদস্যরা এখনো কঠিন ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
যুদ্ধক্ষেত্রের রিপোর্টিংয়ের থেকে আঞ্চলিক সাংবাদিকতা অধিক বিপদজনক
ইউনেস্কো’র তথ্যে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধক্ষেত্রগুলোর থেকে আঞ্চলিক বিষয়াবলি যেমন রাজনীতি, দুর্নীতি এবং অপরাধের কাভারেজ সাংবাদিকদের জন্য আরো অধিক বিপদজনক। গত বছর, সাংবাদিক হত্যার দুই-তৃতীয়াংশ ঘটনা এমন সব দেশে ঘটেছে যেসব দেশে সশস্ত্র সংঘাত নেই এবং বিপুল সংখ্যক জড়িত তাদের আঞ্চলিক কাভারের ঘটনার সঙ্গে।
২০১৯ সালের নভেম্বরে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়মুক্তির সমাপ্তির জন্য আন্তর্জাতিক দিবসে ইউনেস্কো একটি ক্যাম্পেইন চালু করে। কিপ ট্রুথ এলাইভ নামের ওই ক্যাম্পেইন হল সাংবাদিকদের দ্বারা মুখোমুখি হওয়া বিপদগুলো প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করতে। ক্যাম্পেইনটি এই তথ্যকে সামনে এনেছে যে নিহত হওয়ার ৯৩ শতাংশ ঘটেছে যারা আঞ্চলিকভাবে কাজ করেছিলেন।
সমালোচনা বন্ধ করার একটি চেষ্টা
সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইউনেস্কো ঘোষণা করেছে, সাংবাদিকদের উপর আক্রমণের চেষ্টা হল সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে রোধ করা এবং জনগণের তথ্য পাওয়ার প্রবেশাধিকার সঙ্কুচিত করে ফেলার প্রচেষ্টা।
খুন হওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও সাংবাদিকরা তাদের কাজ সংক্রান্ত্র ক্রমবর্ধমানভাবে মৌখিক এবং শারীরিক আক্রমণের মুখে রয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের প্রতি আড়ম্বরপূর্ণ বৈরি রেটোরিকের ব্যাপক বিস্তৃতির মাঝে কারাদণ্ড, অপহরণ এবং শারীরিক নির্যাতনের ঘটনার ছিল উল্লেখজনক বৃদ্ধি।
মিডিয়ায় নারীরা বিশেষ লক্ষ্যবস্তু, ইউনেস্কো বলছে, তারা প্রায় সময়ই অনলাইনে হেনস্তার শিকার হন এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকির মুখোমুখি হন।
বাংলা/এনএডি