ছবি : সংগৃহীত
সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি ও মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট তামাক কর নীতি প্রয়োজন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন অর্থনীতিবীদরা। ১৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর কনফারেন্স হলে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত তামাক কর নীতিমালা বিষয়ক এক মত বিনিময় সভায় তারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর ফোকাল পারসন ড. রুমানা হক বলেন, ‘চার স্তরের তামাক কর থাকায় সিগারেট কোম্পানিগুলো নানাভাবে ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তামাক কর নীতিমালা না থাকার কারণে সাধারণ মানুষ ধূমপান না ছেড়ে একটি ব্রান্ড থেকে আরেকটি ব্রান্ডের দিকে ধাবিত হচ্ছে। একইসঙ্গে তামাক পণ্যের স্বল্প মূল্যের কারণে অল্প বয়সীদের মধ্যে ধূমপানের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশ ও সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট তামাক কর নীতি প্রণয়ন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সিগারেট ও বিড়ির ওপর সুনির্দিষ্ট কর নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি ধোঁয়াহীন তামাক পণ্যের ওপরও উচ্চ হারে করারোপ করতে হবে। একইসঙ্গে অখ্যাত নানা তামাক কোম্পানিকে চিহ্নিত করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।’
ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সাহাদত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘সরকারের যদি লক্ষ্য থাকে বাংলাদেশকে তামাক মুক্ত করবে তাহলে অবশ্যই সবার আগে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো থেকে সরকারি মালিকানা প্রত্যাহার করতে হবে। এটা নিশ্চিত না হলে তামাক প্রশ্নে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। একইসঙ্গে তামাক মুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন থাকলে এখনই উচ্চ কর নীতি এবং সুনির্দিষ্ট কর নীতি মালা প্রণয়ন করতে হবে।
এসময় ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরোর পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমা বেগম জরুরীভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট তামাক কর প্রণয়ণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া মত বিনিময় সভায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকরা তামাক কর বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।’