ফাইল ছবি
গোটা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। প্রতিদিন হাজারো মানুষের নাম যুক্ত হচ্ছে মৃতের তালিকায়। গতকাল ৩০ মার্চ, সোমবার একদিনেই নতুন করে আরো ৩ হাজার ৮৪৫ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাসটি। এ নিয়ে গোটা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আরো ৬২ হাজার ৩৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬০৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগী।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দক্ষিণ ইউরোপের ইতালি ও স্পেন। ইতালিতে এখন পর্যন্ত সেখানে মারা গেছেন ১১ হাজার ৫৯১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্য ১ লাখ ১ হাজার ৭৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে ১৪ হাজার ৬২০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আর স্পেনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭ হাজার ৭১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৯৫৬ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ৭৮০ জন।
এদিকে মোট আক্রান্তের সংখ্যার শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩ হাজার ১৬৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ হাজার ৫০৬ জন মার্কিনি।
আর ভাইরাসটির শনাক্তস্থল চীনে ৩ হাজার ৩০৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮১ হাজার ৫১৮ জন চীনা। যাদের মধ্যে ৭৬ হাজার ৫২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে ইউরোপের মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইতালি-স্পেনের মাঝামাঝি অবস্থিত দেশ ফ্রান্সে মোট ৩ হাজার ২৪ জন মারা গেছেন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫৫০ জন। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ হাজার ৯২৭ ফরাসি।
আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪১ হাজার ৪৯৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯১১ জন।
যুক্তরাজ্যে ২২ হাজার ১৪১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের ১ হাজার ৪০৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন ১৩৫ জন।
জার্মানিতে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৬৬ হাজার ৮৮৫ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৬৪৫ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ হাজার ৫০০ জন।
এছাড়া নেদারল্যান্ডসে ৮৬৪ জন, বেলজিয়ামে ৫১৩ জন, সুইজারল্যান্ডে ৩৫৯ জন, তুরস্কে ১৬৮ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬২ জন, ব্রাজিলে ১৬৫ জন, পর্তুগালে ১৪০ জন, সুইডেনে ১৪৬ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ১২২ জন, অস্ট্রিয়ায় ১০৮ জন, কানাডায় ৯২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর চীনের বিভিন্ন শহরসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৈশ্বিক জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে। পরবর্তীতে তারা এ সংক্রমনকে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।
প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।
এ রোগের এমন কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সেইসাথে জনবহুল স্থানে চলাফেরার সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে এবং খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলা/এসএ