ছবি : সংগৃহীত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কেভিড-১৯) বির্পযস্ত সারাবিশ্ব। এ ভাইরাসে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। দিনরাত গবেষণা করেও এখনো এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বিজ্ঞানীরা। এমতাবস্থায় করোনা থেকে সুরক্ষা পেতে বাড়িতেই মাত্র দুই মিনিটে বানাতে পারেন আয়ুর্বেদিক জুস।
সম্প্রতি করোনা প্রতিরোধে একটি গাইড লাইন দিয়েছে ভারতের আয়ুর্বেদ মন্ত্রণালয়। সেখানেই এই জুসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই জুসটি নিজ হাতে বানিয়ে দেখান ধনেখালির গ্রামীণ হাসপাতালের সিনিয়র আয়ুর্বেদ মেডিকেল অফিসার ডা. মধুমিতা মজুমদার। এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
আগে জেনে নেয়া যাক জুস বানানোর উপকরণ ও তার গুণাগুণ। এটি তৈরি করতে তুলসী পাতা, গোলমরিচ, দারচিনি, সুন্থি বা শুকনো আদা, কিসমিস, লেবু ও গুড় লাগবে।
তুলসী পাতা :
এটি শরীরের রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও প্রদাহ দূর করে। শ্বাসনালীকে প্রসারিত করে বায়ু চলাচলে সুবিধা করে দেয়। স্নায়ুতন্ত্রকে উজ্জীবিত করে। এছাড়াও চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে তুলসী পাতা। আর দুশ্চিন্তা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়- তুলসী এক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী।
দারচিনি :
মানবদেহে সুগারের পরিমান ঠিক রাখতে দারুচিনি খুবই উপকারী।
সুন্থি বা শুকনো আদা :
আয়ুর্বেদের ভাষায় এটি বিশ্বভেষজ। পেশীসহ শরীরের একাধিক যন্ত্রণা লাঘবে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শ্বাসনালীর পেশীকে শিথিল ও প্রসারণ করে। এতে করে বায়ু চলাচলে সুবিধা হয়। ব্রঙ্কাইটিসের রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি উপকারী।
গোলমরিচ :
গোলমরিচের মধ্যে থাকা পাইপারিন শ্বেতকণিকা বৃদ্ধি করে। ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পরিপাকতন্ত্রে থাকা হাইড্রক্লোরিক অ্যাসিডের ক্ষরণও বাড়ায়। দেহের কোষ সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে। শ্বসনতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের কাজকেও স্বাভাবিক রাখে।
আয়ুর্বেদ জুস বানানোর নিয়ম :
চুলা জ্বালিয়ে একটি পাত্রে এক গ্লাস পানি ঢালুন। পানি গরম হয়ে ফুটতে শুরু করলে তার মধ্যে ৮-১০টা তুলসী পাতা দিয়ে দিন। এরপর হাফ চামক শুকনো আদা ও দারচিনি দিন। তাতে দুই চিমটি গোলমরিচ দিন। চাইলে চার-পাঁচটি কিসমিসও দিতে পারেন। এবার পাত্রটি ভালো করে ঢেকে দিন। এভাবেই দুই-তিন মিনিট রাখুন। এরপর ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জুসটি কাপে ঢেলে নিন। এবার পছন্দ মতো লেবু চিপে দিন বা এক টুকরো গুড় মিশিয়ে দিন। আপনি চাইলে একসঙ্গে দুটোই মেশাতে পারেন।
বাংলা/এনএস