দিদারুল ইসলাম ভু্ইয়া ও তার স্ত্রী অপর্ণা। ছবি : সংগৃহীত
ইফতারের সময় র্যাব পরিচয় দিয়ে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক সংগঠন রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য ও করোনা-দুর্গতদের স্বেচ্ছাসেবায় নিয়োজিত দিদারুল ইসলাম ভু্ইয়ার স্ত্রী অপর্ণা বলেছেন, ‘আমার স্বামী কোনো ক্রিমিনাল না, তাকে কেন ইফতার করতে না দিয়ে ধরে নেয়া হবে?’
অবিলম্বে দিদারুল ভূইয়াকে ফেরত দেয়ার দাবিতে ৬ মে, বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রচিন্তার কার্যালয়ে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলয়ে এক কথা বলেন দিদারুলের স্ত্রী।
এসময় দিদারুলের স্ত্রী আরো বলেন, ‘ইফতারের কিছুক্ষণ আগে দুইটা মাইক্রো নিয়ে ১১-১২ জন লোক আসে বাসায়। তারা র্যা ব পরিচয় দেয়। আমাদের কোনো কিছু বলতে না দিয়ে ইফতারের ঠিক দুই মিনিট আগে তারা দিদারকে তুলে নিয়ে যায়।’
অপর্ণা বলেন, ‘এসময় তারা দিদারের দুইটা সিপিইউ, ল্যাপটপ, ওর ব্যবহৃত সরঞ্জাম নিয়ে যায়। দিদারকে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা বলে, আমরা কিছু কথাবার্ত বলে তাকে ছেড়ে দিবো। ইফতারের ঠিক দুই মিনিট আগে তাকে গাড়িতে তোলা হয়। খুব কম সময়ের মধ্যে তাকে নিয়ে যায়, এসময় আমাদেরকে কিছু বলতেও দেয়নি তারা।’
তিনি বলেন, ‘আমার একটাই প্রশ্ন- ও এমন কোনো ক্রিমিনাল না, ক্রিমিনাল কাজ কর্মও কখনোই করে নাই, তাহলে কেন একজন মানুষকে, একজন নাগরিককে ইফতার করতে না দিয়ে তাকে এভাবে নিয়ে যাওয়া হবে?’
তিনি বলেন, ‘ওতো (দিদার) ইফতার করতে পারেই নাই, সাথে সাথে আমরা, আমাদের সাথে কয়েকটা পরিবার কেউই ইফতার করতে পারেন নাই। আজ আমরা এখনো ওই দুইদিনের রোজাতেই আছি। আমি অতিদ্রুত আমার স্বামী দিদারুল ইসলাম ভূইয়ার মুক্তি চাই, তাকে ফিরিয়ে দিন।’
উল্লেখ, ৫ মে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে ঢাকার উত্তর বাড্ডা এলাকার বাসা থেকে র্যাব পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যায় দিদারুল ইসলাম ভু্ইয়াকে।
এদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদকে। বুধবার সকালে রাজধানীর কাকরাইল ও লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
তখন দিদারুল ভূঁইয়ার বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘আমাদের অভিযান এখনো চলছে। অভিযান শেষ হলে বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে আনা হবে।’
তবে র্যাব-৩ এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মুশতাক আহমেদের সহযোগী দিদারুল। তবে যতদূর জানি, তাকে এখনো গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।’