ছবি: সংগৃহীত
প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে উষ্ণায়ন। এতে করে বৃদ্ধি পাচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা। এ কারণে গ্রীষ্মকালের তাপদাহও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় এই গরমে কাজ করা ‘মানুষের জন্য অসহনীয়’ হয়ে পড়বে। একইসঙ্গে হিট স্ট্রেসের কারণে জীবন ঝুঁকিতে পড়বে লাখ লাখ মানুষের।
তাপমাত্রা বাড়ায় ২১০০ সালের মধ্যে প্রায় ১০২ কোটি মানুষের জীবনে তার প্রভাব পড়বে। যা এখনকার চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। চলতি বছরের শুরুতে একটি সমীক্ষায় এই সতর্কবার্তা দেয়া হয়। এমন খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
হিট স্ট্রেসের কারণে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ বিপজ্জনক অবস্থায় পৌঁছেবে। এমকি অনেক মানুষ মারাও যেতে পারে। বিভিন্ন খামারের খোলা জায়গা, কারখানা, হাসপাতাল, বাড়ির ও দালানের ভেতরে কাজ করা মানুষদের মধ্যে হিট স্ট্রেসের প্রভাব বেশি দেখা যেতে পারে।
সিংঙ্গাপুরে করোনা রোগীদের চিকিৎসারত ডা. জিমি লি বলেন, সংক্রমণ এড়ানোর জন্য ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামগুলো ‘মাইক্রো ক্লাইমেট’ তৈরি করে পরিস্থিতি আরো খারাপ দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে ৮ ঘণ্টার একটি শিফটে কাজ করা সত্যিই অস্বস্তিকর এবং মনোবলকে প্রভাবিত করে। অতিরিক্ত গরম চিকিৎসকদের জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়ার দক্ষতা কমিয়ে ফেলতে পারে।
তিনি আরো বলেন, যারা হিট স্ট্রেসের লক্ষণগুলো উপেক্ষা করে কাজ করে যাবেন। তাদের মধ্যেও দুর্বলতা ও বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে। মানবদেহ ঠিকভাবে ঠান্ডা না হলে শরীরের তাপমাত্রা বিপজ্জনক মাত্রায় বাড়াতে থাকে। এতে করে আমাদের মূল অঙ্গগুলোর কার্যক্রমও বন্ধ করে দিতে পারে।
ডা. জিমি লি পরামর্শ দেন, হিট স্ট্রেস থেকে বাঁচতে মানুষকে কাজ শুরু করার আগে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা, নিয়মিত বিরতি নেয়া এবং বিশ্রাম নেয়ার পরে আবার পানীয় পান করতে হবে।
ওই খবরে বলা হয়, বাতাস আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানের জন্য মূল অঙ্গগুলো কাজ করতে না পারলেই হিট স্ট্রেসের ঘটনা ঘটে।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের অধ্যাপক রিচার্ড বেটস সতর্ক করে বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়া হলে বিশ্বের উষ্ণতম অঞ্চলগুলো আরো বেশি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। যা আমাদের জন্য খুবই অসহনীয়।
বাংলা/এনএস