ছবি : সংগৃহীত
চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটেছে। পরে বিদ্রোহী সেনারা দেশটির রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা ও প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসেকে আটক করেছেন।
এরপরই রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেয়া ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বোবো সিসে বিদ্রোহীদের সঙ্গে ‘ভ্রাতৃসুলভ আলোচনার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। গতকাল ১৮ আগস্ট, মঙ্গলবার এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সংবাদ অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে দেশটির রাজধানী বামাকো থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটিতে গুলি ছোড়ার মধ্য দিয়ে এই অভ্যুত্থানের শুরু হয়। সারাদিন বিক্ষিপ্তভাবে রাজধানীতে বিদ্রোহী সেনারা সরকারি ভবনে আগুন দেন।
কয়েক ঘণ্টা আগে সামরিক বাহিনীর অসন্তুষ্ট জুনিয়র অফিসাররা ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করেন। পরে রাতে তারা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের আটক করে রাজধানীর কাছের একটি সামরিক ক্যাম্পে নিয়ে যান। তবে কতজন সেনাসদস্য এই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছেন তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পদত্যাগের পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে ইব্রাহিম বোবাকার কেইতা বলেছেন, তিনি সরকার এবং পার্লামেন্টও ভেঙে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকার জন্য কারও রক্তপাত দেখতে চাই না।’
কেইটা বলেন, ‘যদি আজ সেনাবাহিনী একটি অংশ হস্তক্ষেপের মাধ্যম এটার সমাপ্তি চায়, তাহলে কি আমার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া সুযোগ আছে?’
এদিকে এ সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে অঞ্চলটির দেশগুলোর জোট দ্য ইকোনোমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)। তারা অভ্যুত্থানকারী সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সেই সাথে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি ফ্রান্স।
বাংলা/এসএ/