ফাইল ছবি
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে মসজিদে হামলার ঘটনায় হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। সাজা ভোগকালীন সময়ে কোনো কারণে তাকে প্যারোলেও মুক্তি দেয়া যাবে না।
২৯ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় যুবককে ৫১ জন ব্যক্তিকে নির্বিচার হত্যার দায়ে দোষৗ সাব্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়ার তার বিরুদ্ধে আরো ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টাসহ সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়।
আজ ২৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার যখন আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে সাজার ঘোষণা দিচ্ছিলেন তখন সেখানে হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ও হত্যার শিকার ব্যক্তিদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের মার্চে বিচারকাজ চলার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে আদালতের সামনে নিজের সকল দোষ স্বীকার করে নেন ব্রেন্টন ট্যারান্ট। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দেশটিতে চলা লকডাউনের কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে দেরি হয়।
নিউজিল্যান্ডে মৃত্যুদণ্ডের বিধান না থাকায় ট্যারান্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ জুমার নামাজের দিন দুটি মসজিদে হামলা চালান ট্যারেন্ট। এই হামলার দৃশ্য অনলাইলে লাইভ করেন তিনি। প্রথমে তিনি আল নূর মসজিদে জুমার জন্য সমবেত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন। সেদিন ওই মসজিদে নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াররা। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেন তারা।
পরে তিনি পাঁচ কিলোমিটার দূরবর্তী লিনউড মসজিদে গিয়েও একই কায়দায় হামলা চালিয়ে মুসল্লিদের হত্যা করেন।
বাংলা/এসএ/