ছবি : সংগৃহীত
দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি। তাই করোনাকালে বেশি বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তেমন এক ফল হলো পেয়ারা। এতে একটি কমলা থেকে প্রায় চার গুণ এবং একটি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ পাওয়া যায়।
এছাড়াও অন্য অনেক ফলের চেয়ে দামেও সস্তা পেয়ারা। তাই সহজেই পেয়ারা খেয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
পুষ্টি বিজ্ঞানীরা জানান, পেয়ারাতে ভিটামিনের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি-২ রয়েছে। এছাড়াও নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ পেয়ারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপকার করে থাকে। তাই করোনার শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ইমিউনিটি বুস্টের ভালো মাধ্যম হতে পারে পেয়ারা বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা।
পেয়ারার উপকারিতা :
১. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও পেয়ারা বেশ কার্যকর। এতে থাকা লাইকোপিন, ভিটামিন সি, কোয়ারসেটিনের মতো অনেক এ্যান্টিঅক্সিজেন উপাদান শরীরে থাকা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি রোধ করে পাশাপাশি প্রোস্ট্রেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
২. সুস্বাদু এই ফলটি ডায়াবেটিসসহ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকর। বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতেও পেয়ারা বেশ উপকারী।
৩. কাঁচা পেয়ারা ঠাণ্ডা, কাশি সারিয়ে তুলতে বেশি সহায়ক। এদিকে পেয়ারার পাতাতেও রয়েছে ঔষধি গুণ। পেয়ারা পাতার রস মেয়েদের ঋতুস্বাবের সময়ে পেটে ব্যথার সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়ক।
৪. পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করতে বেশ কার্যকর।
৫. পেয়ারা শুধু কাঁচা খাওয়া ছাড়াও আচার, জেলি কিংবা পেয়ারার শরবত করে খেলে রুচি বাড়বে। একই সঙ্গে ভিটামিনের অভাব দূর করে।
৬. শরীরের ওজন কমাতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও ভুমিকা রাখে পেয়ারা।
বাংলা/এনএস