ছবি : সংগৃহীত
সন্তান বুদ্ধিমান হলে খুশির শেষ থাকা না বাবা-মায়ের। একই সঙ্গে সন্তানের এই বুদ্ধিমত্তার জন্য বাবা না মা দায়ী তা নিয়েও চলে বিতর্ক। অনেকে মাকে, কেউবা বাবাকে আবার কিছুসংখ্যক মনে করেন বাবা-মা দু’জনেই দায়ী। তবে এক্ষেত্রে মায়ের জিনের উপরই সন্তানের বুদ্ধিমত্তা নির্ভর করে বলে জানা গেছে।
এই ক্ষেত্রে বাবার জিনের কোনো ভূমিকাই নেই। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
ওই গবেষণা মতে, শিশুর ইন্টালিজেন্স কোশেন্ট (আইকিউ) কতটা উন্নত হবে তা কন্ডিশনিং জিনের উপর নির্ভর করে। আর শিশুরা এই জিন শুধু তার মায়ের কাছ থেকেই পায়।
একদল ইঁদুরের উপর পরীক্ষা করে এই তথ্য পান গবেষকরা। ওই পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইঁদুরের যেসব বাচ্চারা মায়ের জিন বেশি পেয়েছে- তাদের মাথা বড়, দেহ ছোট এবং তারা বেশি বুদ্ধিমান। আর যেসব ইঁদুর ছানার শরীরে বাবা বা পুরুষ জিন বেশি- তাদের মাথাটা ছোট, দেহ বড় এবং তারা অপেক্ষাকৃত কম বুদ্ধিমান।
‘আন্ডারস্টছান্ডিং মাদারস জেনেটিকস’ নামের এই সমীক্ষাটি পরিচালনা করা হয়। এতে দেখা যায়, মায়ের সঙ্গ, ছোঁয়া, আবেগও শিশুর আইকিউ উন্নত করে। এ বিষয়ে ১০০জন শিশুর উপর একটি পরীক্ষা চালায় মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়।
ওই পরীক্ষায় দেখা গেছে, যেসব সন্তানেরা মায়ের বেশি ঘনিষ্ঠ, মায়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটায় তারা মাত্র দু’বছর বয়সেই, বয়সের তুলনায় কঠিন ও জটিল কোনো খেলা খেলতে পারে। যেমন-‘পাজল’, খুব সহজেই তারা এর সমাধান করে ফেলে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় দেখা যায়, মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা শিশুর মস্তিষ্ককে উন্নত করে। এছাড়াও মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ শিশুরা কম নিরাপত্তাহীনতায়ও ভোগে।
বাংলা/এনএস