ছবি : আলজাজিরা থেকে নেয়া
ভারত, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় আকারের সামরিক মহড়ায় অংশ নিবে অস্ট্রেলিয়া। আগামী মাসে ভারতীয় উপকূলে এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। এই অঞ্চলে চীন প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই চারটি দেশ এতো কাছাকাছি এসেছে।
এই তিনটি দেশ ২০০৭ সালে প্রথম সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। আর আগামী নভেম্বর মালাবর নৌ মহড়ায় অংশ নিবে অস্ট্রেলিয়া। তবে এ নিয়ে চীনের দিক থেকে প্রতিবাদ আসার সম্ভবনা রয়েছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমধ্যম আলজাজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিন্ডা রেনল্ডস ১৯ অক্টোবর, সোমবার গভীর রাতে জানান, উন্মুক্ত ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিককের প্রতি দৃঢ় সংকল্পের অংশ হিসেবে এই যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে- যা মূলত চীনের শক্তিকে মোকাবেলা করার ইঙ্গিত বহন করে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। যা ভারত-চীনের কৌশলগত প্রতিযোগিতার জন্য হটস্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিগত কয়েক শতকে চীন উল্লেখযোগ্যভাবে মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা ভারতের জন্য তীব্র মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমন সময় এই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন চীন ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করেছে। একই সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন ও ভারতের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা চলছে।
এর আগে গত জুনে হিমালয় পর্বতের দূরবর্তী সীমান্তে ভারত ও চীনের কয়েক হাজার সেনার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২০ জন ভারতীয় ও চীনের অজ্ঞাত সংখ্যক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
তথাকথিত ‘কোয়াড’ চীনের প্রভাব কমানোর একটি উপায় হিসেবে দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে কয়েক দশক পর সেনাবাহিনী আধুনিকায়নে দীর্ঘ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তবে চীনকে কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে বা প্রতিরোধ করা যাবে, তা নিয়ে প্রায়ই মতবিরোধের কারণে এই গ্রুপ হোঁচট খায়।
চীনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারসাম্যের মধ্যে রাখার জন্য কোয়াডকে পুনরুজ্জীবিত করতে সম্প্রতি টোকিওতে দেশগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়।
সেই বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও চীনের ‘শোষণ, দুর্নীতি ও বলপ্রয়োগ’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য এই অঞ্চলের মিত্রদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বাংলা/এনএস