ছবি : বিবিসি থেকে নেয়া
চাঁদের মাটিতে পানি থাকার কথা ‘সুস্পষ্টভাবে’ নিশ্চিত করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। পৃথিবী থেকে চাঁদের যে দিকটা দেখা যায় তার উপরিতলে (সারফেস) পানি অণুর অস্তিত্ব আছে বলেও জানান বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কার চাঁদের মাটিতে বিজ্ঞানীদের ঘাঁটি তৈরির সম্ভবনাকে অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছে।
নেচার এ্যাস্ট্রনমি নামের একটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে এক নিবন্ধে আবিষ্কারটির কথা জানিয়েছে নাসার স্ট্রাটোস্ফেরিক অবজারভেটরি ফর ইনফ্রারেড এ্যাস্ট্রনমি (সোফিয়া)। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এ বিষয়ে নাসা’র মহাকাশ-পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক পল হার্টজ জানান, চাঁদে পানি থাকার আভাস আগেই পেয়েছিলেন তারা। চাঁদের যে অংশে সূর্যের আলো পড়ে, সেখানে পানি থাকতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন তারা। আর এই আবিষ্কারের মাধ্যমে তারা সত্যিই জানতে পেরেছেন চাঁদের মাটিতে পানি রয়েছে।
পানির অণুতে দুটি হাইড্রোজেন ও একটি অক্সিজেনের পরমাণু রয়েছে। এ বিষয়ে সোফিয়া জানায়, এর আগেও চন্দ্রপৃষ্ঠে কিছু হাইড্রোজেনের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু তা পানির আকারে আছে কিনা তা স্পষ্ট হয়নি। তবে এবার চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে ক্লাভিয়াস নামে একটি জ্বালামুখে পানির অণুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ফেলো কেসি হনিবল জানান, তাদের তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, এক ঘনমিটার চাঁদের মাটিতে প্রায় ১২ আউন্সের একটি বোতলের সমান পানি আছে।
সেই হিসাব মতে, পৃথিবীতে সাহারা মরুভূমির মাটিতে যতটুকু পানি আছে তার পরিমাণও চাঁদের মাটিতে থাকা পানির ১০০ গুণ।
এদিকে চাঁদের এক ঘনমিটার মাটিতে প্রায় ১২ আউন্সের একটি বোতলের সমান পানি রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নাসা।
ব্রিটেনের মিল্টন কীন্সের ওপেন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী হানা সার্জেন্ট বলেন, সবশেষ আবিষ্কার থেকে যে অনুমান করেছিলাম, তার চেয়েও অনেক বেশি পানি আছে চাঁদে। ফলে চাঁদের পানিকে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা অনেক বেড়ে গেল বলেও মনে করেন তিনি।
বাংলা/এনএস