ছবি : সংগৃহীত
চা বাঙালীর জন্য এখন একটি নিত্যপানীয় হয়ে উঠেছে। বাসা কিংবা বাহিরে অন্তত এককাপ চা পান করা চাই। বিশেষ করে অফিসে বা বাহিরে কাগজের কাপে অনেকেই চা পান করেন থাকেন। আর করোনা মহামারীতে কাগজের কাপের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু এতেই শরীরে ছড়াচ্ছে নিরব বিষ।
এই কাগজের কাপ থেকে শরীরে প্রবেশ করছে ক্ষতিকর মাইক্রোন প্লাস্টিকের কণা। সম্প্রতি ভারতের খড়গপুর আইআইটির গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
ওই গবেষণায় বলা হয়, এ ধরনের কাপে কোনো ব্যক্তি দিনে তিনবার চা পান করলে তার শরীরে ৭৫ হাজার মাইক্রোন প্লাস্টিকের কণা প্রবেশ করে। যা মাবন দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক দলের প্রধান সুধা গোয়েল জানান, কাগজের কাপ তৈরিতে হাইড্রোফোবিক ফিল্ম ব্যবহার করা হয়। গরম চা কাপে ঢাললে তা গলে যায়। আর তাতেই এমন বিপত্তি ঘটে।
মূলত প্লাস্টিক ও অন্য পলিমার দিয়ে কাগজের কাপ তৈরি করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ওই কাপে ১০০ মিলি গরম পানীয় ঢালা হলে ১৫ মিনিটে ২৫ হাজার মাইক্রন সাইজের মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা ভাসতে থাকে। আর দ্রুত সেগুলো চায়ে মিশে যায়। ফলে কেউ দিনে তিনবার ওই ধরনের কাপ থেকে চা খেলেই তার শরীরে ৭৫ হাজার মাইক্রোন প্লাস্টিকের আণুবীক্ষণিক কণা ঢুকে পড়ে, যা খালি চোখে দেখা যায় না।
কাগজের কাপের ক্ষতিকর দিকে নিয়ে সুধা গোয়েল জানান, এই মাইক্রোপ্লাস্টিকেগুলো ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়াম জাতীয় বিষাক্ত ভারী ধাতু, জৈব যোগ ইত্যাদি থাকে। আর এই কণাগুলো শরীরে প্রবেশ করলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
সাধারণত প্লাস্টিকের কাপের থেকে কাগজের কাপকেই অপেক্ষাকৃত বেশি নিরাপদ মনে করা হত। কিন্তু এই গবেষণা সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো। ফলে কাগজের কাপে চা বা কফি খাওয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
বাংলা/এনএস