ছবি : সংগৃহীত
বাজারে পেঁয়াজের দাম না কমলেও প্রতিদিন শত শত বস্তা পচা পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা। বিভিন্ন দেশ থেকে ডলারে কেনা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় এমন অবস্থা। এমনকি গাড়ি ভাড়া করেও এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে দেয়া হচ্ছে। এদিকে নগরীর বিভিন্ন বাজার ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
২১ নভেম্বর, শনিবার কাজীর দেউড়ি মুদির দোকান সিটি স্টোরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৮০ টাকা কেজিতে, বিদেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।
এদিকে খাতুনগঞ্জের প্রতিটি আড়তের সামনে শত শত বস্তা পচা পেঁয়াজ পড়ে আছে। রপ্তানিকারক দেশে জাহাজ ভর্তি করার সময় কন্টেইনার সংক্রান্ত অসচেতনতার কারণে পচে যাচ্ছে পেঁয়াজ। এতে কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, যেখানে ভালো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, সেখানে অনেক ব্যবসায়ী ১৫ টাকা, ১০ টাকা, ৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। কিছু বস্তা হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছেন, আবার কিছু ফেলে দিচ্ছেন। পচা পেঁয়াজের কারণে এখানে গন্ধ ছড়াচ্ছে। পচা যাওয়া পেঁয়াজ ফেলে দিতে হচ্ছে, এই পেঁয়াজ ফেলতেও টাকা লাগতেছে।
এ বিষয়ে জারিফ ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আমদানিকারক মঞ্জুর মোরশেদ জানান, পচে যাচ্ছে কারণ মাল ঠিকভাবে ডেলিভারি হচ্ছে না। এছাড়া জাহাজের মধ্যে তাপমাত্রার সমস্যা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নজরুল অ্যান্ড সন্সের আমদানিকারক মামুনুর রশিদ জানান, ২০ শতাংশ টাকাও রিকভারি হবে না। কিছু কিছু পেঁয়াজ একদম ফেলে দিতে হচ্ছে। এক টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না। একে তো গ্যাঁজ ও পানি ঝরে পচে যাচ্ছে। তার ওপর ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। খাতুনগঞ্জে ৫০ কেজির ওজনের বস্তার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
এ অবস্থায় ক্ষতি সামাল দিতে সরকারের তদারকি বাড়ানোর দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের। খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী আড়তদার সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, কোটি কোটি টাকা লোকসান, এখন কিন্তু সরকারের মাথা ব্যথা নেই। প্রশাসনেরও মাথা ব্যথা নেই, তারা এটা দেখভালো করছে না।
বাংলা/এনএস