মুন্না ভগত। ফাইল ছবি
সম্প্রতি দেশের আলোচিত ও সমালোচিত ঘটনা হাসপাতালের মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গের এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুন্না ভগতকে আটক করেছে পুলিশ। তবে মৃত নারীদের ধর্ষণ করাকে দোষ বলে মনে করেন না মুন্না।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন মন্তব্য করেছেন মুন্না। ২০ নভেম্বর, শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জবানবন্দিতে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের কথা স্বীকার করলেও কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত নন মুন্না। তিনি বলেন, রাতে মর্গে একাই থাকতেন তিনি। নিরিবিলি পরিবেশ এবং কোনো লোকজন না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে মুন্না বলেন, ‘মৃত মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক দোষের কিছু না।’
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার জানান, বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনাই প্রথম। প্রযুক্তির কল্যাণে একটি হাসপাতাল মর্গের ঘটনা ধরা পড়েছে। দেশের অন্য হাসপাতালগুলোতেও অনেক ডোম কাজ করেন। তারা যে এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে না সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খুঁজলে আরো অনেক পাওয়া যেতে পারে। তাই অন্যান্য হাসপাতালে সিআইডির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
মুন্নার বাড়ি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের জুরান মোল্লার পাড়ায়। তিনি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের কোনো কর্মচারী নয়। হাসপাতালের ডোম যতন কুমারের ভাগ্নে হওয়ার সুবাদে মুন্না ওই হাসপাতালে কাজ করতেন। মর্গে আসা মরদেহগুলো গ্রহণ করতেন তিনি। আত্মহত্যাকারী ওই কিশোরীদের লাশ বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে মর্গে আনা হয়। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার এসব লাশ কাটার সময় নির্ধারণ ছিলো পরদিন। রাতের বেলা লাশগুলো মর্গে রাখা হতো। মুন্না সেখানেই থাকতেন। লাশ পাহারার দায়িত্বও ছিল তার ওপর। এই সুযোগেই জঘন্যতম এই অপকর্মটি সম্পন্ন করতেন তিনি।
বাংলা/এনএস