ছবি : সংগৃহীত
২০২১ সালে স্কুল ভর্তিতে কোনো ধরনের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। তার বদলে লটারির মাধ্যমে সব শ্রেণিতেই শিক্ষার্থী বাছাই করে ভর্তি করা হবে। করোনার কারণে লটারি অনুষ্ঠানের অভিভাবকরা শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এই লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করবে ভর্তি কমিটি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামীকাল ২৫ নভেম্বর, বুধবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সংবাদ সম্মেলন করে এ সংক্রান্ত সকল বিষয় অবহিত করবেন। ২৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশীদ আমিন এই তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, অনলাইনের মাধ্যমে সব ক্লাসের ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন পর্যায়ে লটারি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর ফলাফল নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে গঠিত ভর্তি কমিটি এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
এ বিষয়ে মোমিনুর রশীদ আমিন জানান, ২০২১ সালের শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শূন্য আসনের বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। করোনার সংক্রমণ রোধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই সপ্তাহের মধ্যেই ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, করোনার ঝুঁকি এড়াতে এই ভর্তি কার্যক্রমে অভিভাবকদের উপস্থিত না থাকার জন্য বলা হবে। তবে লটারির স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অভিভাবকদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিনিধি নির্বাচিত করা হবে। আর তাদের উপস্থিতেই লটারি কার্যক্রম পরিচালনা করা হতে পারে।
বাংলা/এনএস