দিয়েগো ম্যারাডোনা। ছবি : সংগৃহীত
কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা মৃত্যুতে শোকে নিমজ্জিত পুরো আর্জেন্টিনা। একই সঙ্গে এই শোক ছাড়িয়ে গেছে সারাবিশ্বে। তবে মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন ১ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ লাখ টাকা। এমনকি পরিশোধ করতে পারেননি তার জরিমানার অর্থ।
বিশ্বের সবচেয়ে দামী ফুটবলার ছিলেন ম্যারাডোনা। দুই দু’বার ভেঙেছেন ট্রান্সফার মার্কেটের রেকর্ড। এছাড়াও মৃত্যুর আগমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি মেক্সিকান ক্লাবের কোচ ছিলেন। এমন খবর প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে ৪৪ মিলিয়ন ডলার বা ৩৭১ কোটি টাকার মতো কর ফাঁকির মামলা ছিলো। মৃত্যুর আগে যার অধিকাংশই শোধ করে যেতে পারেননি তিনি।
ম্যারাডোনা ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন ইতলির ক্লাব নাপোলিতে। সেখানে বছরে ৩০ লাখ ডলার বেতন পেতেন তিনি। এছাড়া বিজ্ঞাপন, পণ্যের দূত, ইমেজ শর্ত থেকে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার বা ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেন তিনি।
কিন্তু ১৯৯০ সালে নাপোলিকেই ৭০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন ম্যারাডোনা। কারণ তার মাদকসেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছিল। ক্লাবের সম্মানহানি হওয়ায় তাকে ওই ক্ষতিপূরণ দিতে হয়েছিল। এরপর ২০০৯ সালে বড় ধাক্কা খান ম্যারাডোনা। ইতালিতে খেলার সময় ৩৯ মিলিয়ন ইউরো কর না দেয়ার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তার স্থাবরসহ সবকিছু বাজেয়াপ্ত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত।
তখন তিনি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ। বেতন নেন মাত্র ১৫ হাজার ডলার। যা খুবই সামান্য। এর পরের ইতিহাসটা সবার জানা। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ব্যর্থতার পরে আর বড় কোন ক্লাব বা দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা হয়নি ম্যারাডোনার।
বাংলা/এনএস