ছবি : সংগৃহীত
বাবা-মায়ের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনা। ২৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেশটির রাজধানী বুয়েনস এইরেসে বেল্লা ভিস্তায় বাবা-মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হয় তাকে।
এর আগে সারাদিন লাখ লাখ মানুষ ম্যারাডোনার মৃতদেহের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানায়। প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে ভক্তরা চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানায় এই ফুটবল ইশ্বরকে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ম্যারাডোনার শেষ কৃত্যে ২০ থেকে ২৫ জন বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজন অংশ গ্রহণ করেন। প্রেসিডেনশিয়াল প্যালেসে ম্যারাডোনার মৃতদেহ রাখা হয়। এ সময় তার কফিন আর্জেন্টিনার জাতীয় পতাকা দিয়ে জড়ানো ছিলো। তার ১০ নম্বর জার্সিও সেখানে ছিলো।
ভক্তরা যখন ম্যারাডোনাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, তখন প্রায় এক কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ মানুষের লাইন দেখা যায়। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশকে কঠোর অবস্থান নিতে হয়।
গতকাল ২৫ নভেম্বর, বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। এর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় এ মাসের শুরুতেই তার অস্ত্রোপচার হয়। ৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার করা ওই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। এরপর কয়েকদিন হাসপাতালে থাকার পর চিকিৎসকরা তাকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ করে আজ বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ম্যরাডোনা।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে প্রায় একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। এরপর ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপেও নিজ দলকে ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। কিন্তু জার্মানির কাছে পরাজিত হতে হয় তার দলকে। এছাড়াও ইউরোপিয়ান ফুটবল ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলির অবিসংবাদিত কিংবদন্তি ছিলেন তিনি। সাধারণ মানের এই দলকে দুই বার জিতিয়েছেন ‘সিরি আ’ শিরোপা। এমনকি একবার করেছিলেন ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নও।
ম্যারাডোনার এই মৃত্যুতে সারাবিশ্বের ক্রীড়াজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুধু ক্রীড়াঙ্গনই নয় তার মৃত্যুতে শোকাহত বিশ্ব নেতারাও শোক প্রকাশ করেছেন।
বাংলা/এনএস