ছবি : সংগৃহীত
যে কোনো বয়সের মানুষকেই ফলমূল খেতে বলেন চিকিৎসকরা। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফলের মধ্যে আপেল অন্যতম। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-সি ও আয়রনে ভরপুর আপেল। বাজারে মূলত দুরকমের আপেল পাওয়া যায়। লাল ও সবুজ। শুধু দেখতেই নয়, এই আপেলেগুলোর অনেক কিছুই আলাদা।
এই দুই আপেলে যেমন অনেক কিছুর মিল আছে, তেমনি অমিলও রয়েছে। লাল ও সবুজ আপেলের এসব দিক নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিন।
কোন আপেলে কি ধরণের ভিটামিন রয়েছে, আর কি কি কাজ করে তা জেনে রাখা ভালো। তাই নিচে এই দুই আপেলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হলো-
স্বাদ ;
সবুজ আপেলের আবরণ মোটা হয়, টক স্বাদের হয়। তাই এটা লাল আপেলের থেকে খেতে আলাদা, একটু মচমচে হয়। আর লাল আপেল বিভিন্ন ধরনের হয়, বেশিরভাগেরই আবরণ পাতলা ও রসালো হয়। লাল আপেল স্বাদেও মিষ্টি হয়।
পুষ্টিগুণ :
মোটামুটি দুই আপেলেরই পুষ্টিগুণ এক। দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, পেকটিন, কোয়েকসেটিন, ফ্লেভনয়েডস রয়েছে। দুই আপেলই ক্রনিক হার্ট ডিজিস রোধ করে, লিভার ডিজিস থেকে বাঁচায়। ক্যালোরি থাকে না। ফলে ওজন বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে না।
কি কি আলাদা থাকে এই দুই আপেলে?
সবুজ আপেল ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই ও ভিটামিন-কে’র অন্যতম উৎস। আর লাল আপেলের থেকে আয়রন, পটাসিয়াম ও প্রোটিন বেশি থাকে সবুজ আপেলে। সুগার লেভেল কমাতে চাইলে লাল আপেলের চেয়ে সবুজ আপেল খাওয়া ভাল।
এদিকে লাল আপেলে অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকে। যাদের ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস প্রয়োজন। তারা লাল আপেল খেতে পারেন।
লাল না সবুজ, কোনটা খাওয়া ভালো?
পুষ্টিগুণ অনুযায়ী লাল আপেলের থেকে সবুজ আপেল একটু এগিয়ে। কিন্তু বাকি সব ক্ষেত্রেই এক। এই দুটির যেকোনো একটি খেলেও তা শরীর ভালো রাখবে। যদি ডায়েটে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস অ্যাড করতে হয়, তা হলে লাল আপেল খাওয়া ভালো। তবে সব চেয়ে ভালো হয়, যদি দুটি আপেলই খাওয়া যায়।
বাংলা/এনএস