ছবি : সংগৃহীত
খাবারের স্বাদ বাড়াতে কেশরের জুড়ি মেলা ভার। এর কালচে মেরুণ আভা যেকোনো খাবারে এনে দেয় বাদশাহি আমেজ। আর দুধ বা মিষ্টিতে দিলে তো কথাই নেই। তবে শুধু স্বাদই নয়, কেশরের অনেক ঔষুধি গুণও রয়েছে। তাই দাম বেশি হলেও এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
ভারতের কাশ্মীরের বহু এলাকায় কেশর চাষ হয়। তবে সবচেয়ে বেশি কেশর উৎপন্ন হয় ইরান ও আফগানিস্থানে। বহু বছর ধরে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে কেশরের ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস জার্নালে ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। খবর নিউজ এইট্টিনের।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাচীন যুগ থেকে কেশর বিভিন্ন ধরনের রোগ দূর করতে সাহায্য করছে। ক্রকাস স্যাটিভাস ফুলের এই পুংকেশরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকে। এটি খেলে শরীরের মেটাবলিজমও ঠিক থাকে। এছাড়াও কেশরের একাধিক গুণ রয়েছে, এজন্য এটির বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে।
ত্বক ভালো রাখে :
বিভিন্ন রান্নায় এটি ব্যবহার করার পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার, সাবান, ফেসওয়াশ বা বডিওয়াশেও ব্যবহার করা হয়। কারণ এটি ত্বককে ভালো রাখে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস থাকায় এটি ত্বককে পরিষ্কার করে, উজ্জ্বল করে তোলে ও প্রাকৃতিক ভাবে ঝলমলে রাখে। এছাড়াও কেশর ব্রন দূর করতেও সাহায্য করে। ফলে যাদের ব্রন থাকে, তাদের ক্ষেত্রে কেশরযুক্ত ফেস ক্রিম বা ফেসওয়াশ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়।
মেজাজ ঠিক রাখে:
সমীক্ষা বলা হয়, কেশরে ফাইটোকেমিক্যাল ও ফেনোলিক রয়েছে। যা শরীরের সেরোটোনিন মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও মেজাজ ঠিক করতে সাহায্য করে। অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়, কেশর ছাড়াও এই ফুলের পাপড়িও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে। মেজাজ খারাপ থাকলে অনেকেই কেশরমিশ্রিত দুধ পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যৌনক্রিয়া ঠিক রাখে:
একাধিক গবেষণায় বলা হয়, কেশর ইরেকটাইল প্রক্রিয়া, লিবিডোসহ সম্পূর্ণ যৌনক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে। গবেষকরা জানান, এতে আরো বেশ কিছু উপাদান থাকে যা যৌন ইচ্ছা বাড়ায়। তবে, এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আমন্ড দুধে কেশর মেশালেই উপকার পাওয়া যেতে পারে।
বাংলা/এনএস