ফাইল ছবি
২৪ ঘণ্টায় করোনা (কোভিড-১৯) নির্মূল করার ওষুধ পাওয়ার দাবি করেছেন মার্কিন গবেষকরা। ওই ওষুধের নাম মলনুপিরাভির। এমনকি এই ওষুধ খেলে করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসলেও করোনার সংক্রমণ হবে না বলেও দাবি করেছেন তারা।
ইনফ্লুয়েঞ্জায় ব্যবহৃত ‘ব্রড স্পেকট্রাম অ্যান্টিভাইরাল’ করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করে এই সাফল্য পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেসের একদল বিজ্ঞানী এই গবেষণা করেন। সম্প্রতি ‘নেচার মাইক্রোবায়োলজি’ জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে সংবাদ প্রতিদিন।
গবেষণা দলের প্রধান ডা. রিচার্ড প্লেম্পার জানান, এ পর্যন্ত করোনা চিকিৎসায় যতগুলো ওষুধ প্রয়োগ হয়েছে তার মধ্যে এটাই সেরা। করোনা মোকাবিলায় এটি গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবে।
ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেরেটের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এই ওষুধ। দেখা গেছে, ইঁদুরের মতো দেখতে জন্তুগুলো সুপার স্প্রেডার’ হওয়া সত্ত্বেও করোনা ছড়াতে পারছে না। ২৪ ঘণ্টাতেই করোনার সংক্রমণ আটকে দিচ্ছে এই ওষুধটি।
গবেষকদের দাবি, এই ড্রাগ ‘স্পেন্টেনিয়াস টটোমেরিক ইন্টারকনভার্সন’ করে ভাইরাসের আরএনএ’র সাইটোসিন বা ইউরাসিলের সঙ্গে জুড়ে যায়। এবং আরএনএ’র মিউটেশন করায়। যাতে ‘ভাইরাল এরর ক্যাটাস্ট্রফি’ তৈরি হয়। ফলে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ভাইরাস তৈরি হতে পারে না। যতদিন না সাধারণ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন সহজলভ্য হচ্ছে ততোদিন এই ওষুধকেই করোনা চিকিৎসা ব্যবহার করা যেতে পারে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা হারাবে করোনা রোগী। দেহের অভ্যন্তরেও নতুন করে আর বংশবিস্তার করতে পারবে না এই ভাইরাস।
আপাতত পশুদের মধ্যে এই ওষুধের পরীক্ষা শেষ করে এখন মানুষদের মধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষার প্রথম পর্যায় শেষ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা বেশ জোরেশোরেই চলছে। তবে তার ফলাফল এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
বাংলা/এনএস